—ছবি: সংগৃহীত।
ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেবেন বর্তমান চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন ভি নারায়ণ। মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসরোর নতুন চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়। শুধু চেয়ারম্যান নন, সামলাবেন মহাকাশ দফতরের সচিবের দায়িত্বও সামলাবেন ভি নারায়ণ। আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকেই ইসরো প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি। আগামী দু’বছরের জন্য তাঁকে নিয়োগ করেছে মোদী সরকার।
ইসরোর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার এবং অভিযানের নেপথ্যে নারায়ণের ভূমিকা অপরিসীম। মূলত প্রপালশন সিস্টেমের উপর কাজ করেছেন তিনি। লিকুইড প্রপালশন সিস্টেম সেন্টারের (এলপিএসসি) প্রধান ছিলেন তিনি। এ ছাড়াও ভ্যালিয়ামারার দায়িত্বও সামলেছেন এই বিজ্ঞানী। দেশের ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন নারায়ণ। ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন এমন এক প্রযুক্তি, যা মহাকাশযান উৎক্ষেপণের জন্য প্রয়োজন। ইসরোর আসন্ন গগনযান অভিযানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তাঁর নাম। সোমনাথের জায়গায় যিনি আসতে চলেছেন তাঁকে নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে। পূর্বসূরি সোমনাথের মতই কি বেতন পাবেন? কত হতে পারে সেই অঙ্ক? সে সম্পর্কে কৌতূহলের অন্ত নেই।
২০২৩ সালে ইসরো প্রধানের বেতন সম্পর্কে এক্স সমাজমাধ্যমে( সাবেক টুইটার) প্রশ্ন তুলেছিলেন শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা। তিনি লিখেছিলেন ‘‘ইসরো চেয়ারম্যানের বেতন প্রতি মাসে আড়াই লাখ টাকা। এটা কি সঠিক ও যথাযথ?’’ চেয়ারম্যান পদের বেতন কাঠামো সম্পর্কে ইসরো কখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে সোমনাথের মতো তিনিও প্রতি মাসে আড়াই লক্ষ টাকা বেতন পাবেন। এ ছাড়াও রয়েছে অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা।
জন্ম তামিলভূমে হলেও বাংলার সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে নারায়ণের। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি চলে আসেন পশ্চিমবঙ্গে। খড়্গপুর আইআইটি থেকে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে এখান থেকেই অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিইচডি করেন নারায়ণ।