Dont Drink In Thermos

জল গরম রাখার বোতলে যে কোনও পানীয় ভরে ফেলেছেন? তা আদৌ স্বাস্থ্যকর তো!

জল গরম রাখার স্টিলের বোতলে কি যে কোনও পানীয় ভরে রাখেন? না বুঝে শরীরের ক্ষতি করছেন না তো?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:২০
জল গরম রাখার বোতলে ৫ পানীয় রাখলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।

জল গরম রাখার বোতলে ৫ পানীয় রাখলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। ছবি:ফ্রিপিক।

জল গরম খাকবে বলে স্টিলের ‘থার্মোস’ বোতল কিনেছেন। অফিস যাচ্ছেন বা বেড়াতে, তাতেই পছন্দের পানীয় ঢেলে ফেলছেন। কিন্তু যে পানীয় বোতলে ভরছেন, তা আদৌ তাতে রাখার উপযোগী তো? জল গরম রাখার বোতল মানেই কিন্তু তার মধ্যে যে কোনও পানীয় রাখা যায় না। দীর্ঘ ক্ষণ রাখলে তা অস্বাস্থ্যকর হতে পারে। কোন কোন পানীয় এই ধরনের বোতলে ঢালবেন না?

Advertisement

দুধ: শীতের দিনে গরম দুধ খেলে গা গরম থাকে। অবশ্যই দুধ পুষ্টিকর। কিন্তু জল গরম রাখার স্টিলের বোতলে গরম দুধ দীর্ঘ ক্ষণ রাখা স্বাস্থ্যপোযাগী নয়। দুধ বোতলে ভরে অনেক ক্ষণ রেখে দিলে ব্যাক্টেরিয়া বেড়ে ওঠে। তা ছাড়া গরমে দীর্ঘ ক্ষণ থাকলে দুধের কার্যকারিতাও নষ্ট হতে পারে।

অ্যাসিড জাতীয় উপাদান: লেবু চা, ভেষজ পানীয় বা চা কি স্টিলের বোতলে নিয়ে যাচ্ছেন? যে কোনও অ্যাসিড বা অ্যালক্যালাইন উপাদান কিন্তু স্টিলের সঙ্গে বিক্রিয়া করতে পারে। অথবা তা দীর্ঘ ক্ষণ স্টিলে থাকা বিভিন্ন উপকরণে সঙ্গে থাকতে থাকতে বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে। তা ছাড়া পানীয় গরম রাখতে একটু বেশি উষ্ণ তরলই বোতলে ভরার প্রবণতা থাকে। বেশি গরমে দীর্ঘ ক্ষণ পানীয় থাকলে ভেষজ উপকরণের গুণাগুণ নষ্টের সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

কার্বোনেটেড পানীয়: ফলের রস, কার্বোনেটেড পানীয় স্টিলের থার্মোসে রাখা ঠিক নয়। দীর্ঘ ক্ষণ ফলের রস রাখলে পরে তাতে গন্ধ হয়ে যায়। ব্যাক্টেরিয়াও বাসা বাঁধতে পারে। কার্বোনেটেড পানীয়, স্টিলের সঙ্গে বিক্রিয়া করতে পারে।

নুন: লেবু, নুন দিয়ে লাল চা খেতে অনেকেই ভালবাসেন। পছন্দের কোনও জায়গায় বসে আরাম করে চা খাবেন ভেবে পানীয় গরম রাখার বোতলে তা ভরলেন। জানেন, এটা কতটা ক্ষতিকর হতে পারে? নুন স্টিলের আস্তরণ খইয়ে দিতে পারে। বিশেষত কয়েক ঘণ্টা যদি তা থার্মোসে থাকে, তা হলে সেই পানীয়ে চুমুক দেওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।

দুধ কফি: দুধ জাতীয় জিনিস যে হেতু চট করে নষ্ট হয়ে যায়, ব্যাক্টেরিয়া বেড়ে ওঠে, তাই দুধ দেওয়া চা বা কফি বাদ দেওয়া দরকার। বদলে কালো কফি বা লাল চা নিতে পারেন।

Advertisement
আরও পড়ুন