স্বাস্থ্যের কথা ভেবে চিনিতে আপত্তি? খেজুর দিয়েও বানানো যায় মিষ্টির নানা পদ। ছবি: সংগৃহীত।
ছোট্ট একটি ফল। কিন্তু পুষ্টিতে ভরপুর। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ডায়েটরি ফাইবার। দ্রুত শরীরকে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে খেজুর। ফল হিসাবে খাওয়া ভাল। তবে রকমারি পদের স্বাদ বৃদ্ধিতেও খেজুর একাই একশো। জেনে নিন, ফলটি দিয়ে শীতের দিনে কোন কোন মিষ্টি পদ বানাতে পারেন।
ক্ষীর: ঘন দুধ দিয়ে তৈরি ক্ষীর খেতে ভালবাসেন না, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। তবে যদি স্বাস্থ্যকর কোনও মিষ্টি খেতে চান, তা হলে বানিয়ে ফেলুন খেজুরের ক্ষীর। প্রথমেই ১০-১২টি রসালো খেজুর নিয়ে তার বীজ ফেলে গরম দুধে ভিজিয়ে রাখুন। একই ভাবে কাজুবাদাম এবং কাঠবাদামও গরম দুধে আলাদা করে ভিজিয়ে নিন। একটি পাত্রে ৫০০ মিলিলিটার ঘন দুধ জ্বাল দিয়ে আরও ঘন করে নিন। এ বার খেজুর এবং বাদাম বেটে সেই দুধে দিয়ে নাড়তে থাকুন যত ক্ষণ না ঘন হচ্ছে। ইচ্ছা হলে যোগ করতে পারেন সামান্য এলাচ গুঁড়ো এবং পাটালি। ক্ষীর পরিবেশনের সময় উপর থেকে কাজু এবং খেজুর কুচিয়ে ছড়িয়ে দিন।
বরফি: প্রথমেই একমুঠো আখরোট শুকনো কড়াইয়ে নাড়িয়ে নিন। একটি পাত্রে ১৫-২০টি খেজুর বীজ ছাড়িয়ে দিয়ে, গরম জল দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। জল খুব বেশি দিলে হবে না। খেজুর গলে যাতে মাখো মাখো হয়, তা বুঝেই জল দেওয়া দরকার। খেজুর ভাল করে গলে গেলে যোগ করুন ঠান্ডা জলে গুলে নেওয়া ২ চামচ কর্নফ্লাওয়ার। ভাল করে নাড়াচাড়া করে আখরোট দিয়ে দিন। সমস্ত উপকরণ একটি থালায় ঢেলে উপর থেকে সমান করে দিন চামচ বা খুন্তির সাহায্যে। ঘণ্টা চার-পাঁচেকের মধ্যেই তা জমাট বেঁধে যাবে। তার পর ছুরি দিয়ে বরফির মতো কেটে নিলেই হবে।
লাড্ডু: খেজুর, রকমারি ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন লাড্ডু। খেজুরের বীজ ফেলে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। তবে জল যত কম দেওয়া যায়, ততই ভাল। এ বার কড়াইয়ে ঘি নিয়ে তাতে কুচিয়ে রাখা কাজু, কাঠবাদাম, আখরোট নাড়াচাড়া করে নিন। যোগ করুন সামান্য নুন। দিয়ে দিন বেটে নেওয়া খেজুর। সমস্ত উপকরণ ভাল করে নাড়িয়েচাড়িয়ে নিয়ে ঘন হয়ে গেলে আঁচ বন্ধ করে দিন। একটু ঠান্ডা হলেই লাড্ডু তৈরি করে নিন।