প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
রাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতি। বাড়ির বাইরে মানুষ তেমন বেরচ্ছেন না। কিন্তু এর মধ্যেই অজান্তে আমরা অনেকে কোনও না কোনও কোভিড আক্রান্তের কাছাকাছি চলে যাচ্ছি। এবং সংক্রমিত হয়ে পড়ছি। আপনার যদি মনে হয় গত কয়েকদিনের মধ্যে কোনও কোভিড-আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন, তা হলে আপনাকেও কয়েকটা নিয়ম মেনে চলতে হবে।
শুরুতেই জেনে রাখা ভাল, কী ভাবে আপনার কোভিড সংক্রমণ হতে পারে। যদি কোনও কোভিড আক্রান্তের হাঁচি, কাশি বা লালারস আপনার নাকে, মুখে, চোখে উড়ে এসে পড়ে, তা হলে সংক্রমিত হতে পারেন আপনি। কোনও কোভিড আক্রান্তের শরীর থেকে যদি অ্যারোসোলের মাধ্যমে সংক্রমিত বাতাস আপনার শরীরে প্রবেশ করে, তা হলেও সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বাড়িতে কোনও কোভিড রোগী থাকে, বা কোনও কোভিড রোগীর দেখাশোনা করেন আপনি তা হলে আপনার ঝুঁকি অনেকটাই। কোনও কোভিড রোগীর দ্বারা সংক্রমিত দরজা, রিমোট, বাসন, টেবিল-চেয়ার ইত্যাদি ছুঁয়ে আপনি যদি হাত না ধুয়ে চোখে মুখে হাত দেন, তা হলেও আপনার সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়ে যায়।
যদি জানতে পারেন, আপনার সেই রকম কোনও সম্ভাবনা রয়েছে, তা হলে যেগুলো আপনার করণীয়—
১। বাড়ির অন্য সদস্যদের থেকে একটু দূরে থাকুন। বিশেষ করে বয়স্ক বা অসুস্থ কোনও মানুষ থাকলে। কয়েকদিন তাঁদের সঙ্গে এক ঘরে থাকবেন না বা এক ঘরে বসে খাবেন না। পারলে আলাদা বাথরুম ব্যবহার করুন।
২। সপ্তাহ দুয়েক নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হন। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা এবং জ্বর মেপে দেখুন বারবার। কোনও রকম গলা ব্যথা, মাথা ধরা, কাশি, কাঁপুনি বা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কি না খেয়াল করুন।
৩। যদি কোনও একটা উপসর্গও চোখে পড়ে, দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে কোভিড পরীক্ষা করিয়ে নিন। এখন অনেক সময় রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে অপেক্ষা না করে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। যদি বাড়িতে র্যাট টেস্ট করিয়ে নেগেটিভ ফল পান, অথচ আপনার উপসর্গ থাকে, তা হলে ফের একবার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে।
৪। যদি আপনার কোভিড-পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে, তা হলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন না। বহু কোভিড রোগী বাড়িতে নিভৃতবাসে থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন। চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করুন এবং তাঁর পরামর্শ মেনে চলুন। নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং কোনও রকম বারাবারি হলেই সঙ্গে সঙ্গে আপনার কেয়ারগিভারের সাহায্য চান।