আরটি-পিসিআরে ভাইরাসের খোঁজ চলার ঠিক কোন দফায় রোগীর আরএনএ-তে তার উপস্থিতি ধরা দিচ্ছে,? এর মাধ্যমে নির্ধারিত হয় সিটি ভ্যালু । ফাইল চিত্র
ভাইরাল লোড ১৭! এবার কী হবে?
করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসা মাত্র ঘরে ঘরে শুরু হচ্ছে এমন আলোচনা। কিন্তু কী এই ভাইরাল লোড কিংবা সিটি ভ্যালু ? তার থেকে কি রোগীর শারীরিক অবস্থা বোঝা সম্ভব? ভাইরাসের তেজ কত, তা ঠিক কী বলে দেবে? সে সব কথায় ঢোকার আগে জানা প্রয়োজন সিটি ভ্যালু কী?
সংক্রমিতের শরীরের নমুনা নিয়ে যখন করোনা পরীক্ষা হয়, তখনই ধরা যায় সিটি ভ্যালু । ভাইরাস অন্বেষণের ঠিক কোন পর্যায় তার অস্তিত্ব টের পাওয়া যাচ্ছে, সিটি ভ্যালু হল সেই সংখ্যা।
কী ভাবে তা বোঝা যায়?
আরটি-পিসিআর হয় রোগীর শরীরের নমুনা নিয়ে। সেখানে রোগীর আরএনএ থেকে বোঝার চেষ্টা করা হয় করোনাভাইরাস তাঁর দেহে সংক্রমণ ছড়িয়েছে কিনা। তার জন্য দফায় দফায় চলে চেষ্টা। এই কাজে ডিএনএ অ্যামপ্লিফাই যত দফায় করতে হয়, তাতেই ধরা পড়ে সিটি ভ্যালু ।
এই পদ্ধতিতে যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে সংক্রমণ, তার মানে তত কম হবে সিটি ভ্যালু । যত কম হবে সিটি ভ্যালু , বলা হয় সেই শরীরে ভাইরাসের তেজ তত বেশি। আর সংক্রমণ তত ছোঁয়াচে।
এই পদ্ধতিতে কত দফা পর্যন্ত দেখা হয়? আন্তর্জাতিক ভাবে নির্ধারিত মাত্রা হল ৩৫-৪০। অর্থাৎ, সিটি ভ্যালু ৩৫ বা তার কম হলে রোগীকে করোনা পজিটিভ ধরতে হবে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ৪০-এর কমেই ধরা হয়। এই ফারাক সাধারণত পরীক্ষার জন্য কোন সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে, তার ভিত্তিতেই হয়।
তার মানে কি সিটি ভ্যালু যাঁর যত কম, তাঁর সংক্রমণ তত ছোঁয়াচে? এমনটাই ধরা হচ্ছিল প্রথম দিকে। তবে পরীক্ষার জন্য কী ভাবে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং কোন আবহে পরীক্ষা হচ্ছে সে সবের উপরে অনেকটাই নির্ভর করে বলে মত বহু চিকিৎসকের। ফলে সিটি ভ্যালুকে সংক্রমণের মাত্রা বোঝার চূড়ান্ত নির্ধারক বলে মানতে চান না চিকিৎসকেদের একাংশ।