আধুনিক পুষ্টিচর্চায় ঘি হল ‘সুপারফুড’। ছবি: সংগৃহীত।
খাঁটি ঘিয়ের অবদান সম্পর্কে কমবেশি সকলেই অবহিত। রান্নাবান্না থেকে রূপচর্চা— ঘিয়ের ব্যবহার রয়েছে সর্বত্রই। তাই আধুনিক পুষ্টিচর্চায় ঘি হল ‘সুপারফুড’। প্রাচীন কালে বিয়ের আগে হবু কনেরা তাঁদের রূপটানে ঘি ব্যবহার করতেন। আসলে ঘিয়ের মধ্যে থাকে ভিটামিন এ, ডি এবং ই— যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হাওয়ায় ভেসে থাকা দূষণের কণাগুলির সঙ্গে লড়তে সক্ষম। তার সঙ্গে এই তিনটি ভিটামিনই কোনও না কোনও ভাবে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ঘিয়ে আবার বয়স ধরে রাখার গুণ (অ্যান্টি-এজিং প্রপার্টি) রয়েছে। বয়সজনিত কারণে ত্বকে যে সমস্যাগুলি হয়, নিয়মিত ব্যবহার করলে সেগুলি চলে যায়। তবে ব্রণর সমস্যা ত্বক থাকলে বা ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে ঘি ব্যবহার না করাই ভাল।
মুখে নিয়মিত ঘি মাখলে কী উপকার হয়?
১) শুকনো ত্বকের সমাধান:
হাতে কয়েক ফোঁটা ঘি নিন। শুকনো ত্বকে লাগিয়ে দিন। যত ক্ষণ সম্ভব রাখার পরে ধুয়ে ফেলুন। শুকনো ত্বকের পাকাপাকি সমাধান হয়ে গেল।
২) বলিরেখা আটকাতে:
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বলিরেখা পড়তে বাধ্য। কিন্তু তার গতি কমিয়ে দিতে পারে ঘি। ঘিয়ে থাকা ভিটামিন ই ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। রোজ ঘি লাগালে বলিরেখা দেরিতে পড়ে।
৩) বাথ অয়েল:
ঘি দিয়ে বাথ অয়েল বানানো যায়। পাঁচ ফোঁটা ঘি আর ১০ ফোঁটা এসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে নিন। স্নানের পর এই মিশ্রন হাতে-পায়ে লাগিয়ে নিন। ময়শ্চারাইজারের কাজ হয়ে যাবে।
৪) চোখের নীচে কালচে দাগের সমাধান:
ঘুমের অভাবে চোখের নীচে কালচে দাগ পড়ছে? রোজ কয়েক ফোঁটা ঘি লাগান ওই জায়গায়। কমে যাবে কালচে দাগ।
৫) ঠোঁটের যত্নে:
ঠোঁট ফাটা থেকে কালচে ঠোঁট— একাধিক সমস্যার একটাই সমাধান ঘি। রোজ ঘি দিয়ে ঠোঁটের মালিশ করলে একাধিক সমস্যাই কেটে যাবে।