— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিনোদন জগতে ‘কে ড্রামা’র মতোই ত্বকচর্চায় এখন কোরিয়ান প্রসাধনীর রমরমা। কোরিয়ান অভিনেতাদের বৈশিষ্ট্য হল কাচের মতো স্বচ্ছ ত্বক। ব্রণ, দাগ-ছোপহীন ত্বক চান সকলেই। কিন্তু এমন কাচের মতো ত্বক পেতে যে প্রসাধনীই ব্যবহার করুন না কেন, তাতে কোরিয়ার নায়িকাদের মতো ত্বক স্বচ্ছ হয় না। এ দিকে, ভারতে যে সব কোরিয়ান প্রসাধনী পাওয়া যায়, তা কেনা অনেকেরই সাধ্যের বাইরে। তবে রূপচর্চার জন্য প্রাকৃতিক, ভেষজ উপকরণের উপর ভরসা করেন অনেকেই। তাঁরা বলছেন, সামান্য কিছু জিনিস দিয়ে কম খরচেই কোরিয়ান ফেস সিরাম তৈরি করে নেওয়া যায়।
কী কী লাগবে?
ভিটামিন ই ক্যাপসুল: ৩-৪টি
হোহোবা অয়েল: ১ টেবিল চামচ
রোজ়হিপ অয়েল: ১ টেবিল চামচ
আর্গন অয়েল: ১ টেবিল চামচ
ল্যাভেন্ডার অয়েল: ৫-৬ ফোঁটা
ফ্রেকিন্সেস অয়েল: ৫-৬ ফোঁটা
পদ্ধতি:
১) প্রথমে ড্রপার দেওয়া পরিষ্কার একটি কাচের শিশি নিন।
২) এ বার সব কটি উপকরণ একে একে ওই শিশির মধ্যে ঢেলে নিন।
৩) শিশির মুখ বন্ধ করে ঝাঁকিয়ে নিলেই তৈরি কোরিয়ান ভিটামিন ই সিরাম।
কখন, কী ভাবে মুখে ফেস সিরাম ব্যবহার করবেন?
ত্বকের যত্নে এই সিরাম মাখা যেতে পারে দিনে দু’বার। মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে তার পর এই সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা থেকে বলিরেখার সমস্যা— সবই নিরাময় করতে পারে এই প্রসাধনীটি। তবে অভিজ্ঞরা বলছেন, কোরিয়ান প্রসাধনী বাড়িতে তৈরি করলেও তা রাখতে হবে খুব যত্নে। এই সিরামের মূল উপদান হল এসেনশিয়াল অয়েল। তাই এই এর মধ্যে সমস্ত উপাদানই ভীষণ ভাবে সক্রিয়। শিশির গায়ে আলো বা রোদ লাগলেই তার গুণাগুণ কিন্তু নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই পারলে গাঢ় রঙের কাচের শিশি ব্যবহার করুন। ঘরের যে অংশে আলো কম পৌঁছয়, সেই রকম জায়গায় রাখুন সিরাম।