— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এক সঙ্গে সব ধরনের ব্যায়াম রোজ করতে পারেন না। ধরে ধরে সবকটা ভঙ্গি অভ্যাস করতে গেলে অফিসে অবধারিত লেট হবে। তাই সকালে হালকা কিছু ব্যায়াম করে বিকেলের দিকে কঠিন ভঙ্গিগুলো রেখে দেন। কিন্তু সমস্যা হল সারা দিন দৌড়ঝাঁপ করে ফিরে এসে আর শরীর দেয় না, ক্লান্ত লাগে। বেশির ভাগ দিনই জিমে গিয়ে বসে থাকতে হয়। তবে প্রশিক্ষকেরা বলছেন এমন কিছু ব্যায়াম আছে, যা অভ্যাস করলে ক্লান্ত শরীরও চনমনে হয়ে উঠতে পারে।
১) বেঞ্চ প্রেস:
কাঁধ, বুক এবং ট্রাইসেপসের গঠন এবং পেশি মজবুত করার জন্য প্রশিক্ষকরা এই ব্যায়ামটি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এ ক্ষেত্রেও দু’হাতে খুব সামান্য ওজন নিয়ে এই ব্যায়াম শুরু করা উচিত। পিঠ এবং কোমরে যাতে আঘাত না লাগে, তার জন্য সরু বেঞ্চের উপর শুয়ে অভ্যাস করতে হয় এই ব্যায়াম। প্রতিদিন অন্তত তিন সেট করে পাঁচ বার অভ্যাস করুন এই ব্যায়াম। এই ব্যায়ামের সঙ্গে শরীর অভ্যস্ত হতে শুরু করলে সময় বাড়ানো যেতে পারে।
২) হাই নিজ়:
প্রথমে একটি পা মুড়ে পেটের কাছে তুলে ধরুন। কিছু ক্ষণ এই অবস্থায় থাকুন। আবার অন্য পায়ে একই ভাবে পা মুড়ে এই ব্যায়াম অভ্যাস করুন। অভ্যাস হয়ে গেলে এক মিনিটে ১০ বার পর্যন্ত অভ্যাস করতে পারেন।
৩) জাম্পিং জ্যাক্স:
সোজা হয়ে দাঁড়ান। এ বার একই সঙ্গে হাত ও পা নাড়িয়ে লাফ দিতে থাকুন। হাত দুটো এতটাই উপরে তুলুন, যাতে মাথার উপরে এসে পৌঁছয়। পা প্রসারিত করার সময়ে হাত থাকবে উপরে, পা জোড়া করার সময়ে হাত থাকবে নীচে। জাম্পিং জ্যাক্স-এক জন্য হাতে রাখুন এক মিনিট।
৪) পুশ-আপ্স:
পুশ আপ এমন একটি ব্যায়াম, যা সারা শরীরের মাংসপেশিগুলি মজবুত করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে কোর মাস্ল। প্রথমে মাটির দিকে মুখ করে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাত এবং পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে মাটি থেকে দেহ সমান্তরাল ভাবে তুলে ধরুন। এ বার কনুই ভাঁজ করে এক বার মাটির কাছাকাছি, আবার কনুই সোজা করে মাটির থেকে দূরে নিয়ে যান। শুরুতে অসুবিধা হলে, দেওয়ালের সোজাসুজি দাঁড়িয়েও করা যেতে পারে এই ব্যায়াম। ৬০ সেকেন্ড থাকুন এই অবস্থায়।
৫) সাঁতার:
গোটা দেহে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলার মোক্ষম অস্ত্র হল সাঁতার। যে কোনও বয়সেই সাঁতারের মতো ব্যায়াম অভ্যাস করা যায়। বয়স বাড়লে শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে ব্যথার প্রকোপ বাড়ে। এই সমস্যা নিরাময় করতে পারে সাঁতার। শরীর, মন একেবারে চনমনে হয়ে ওঠে।