ত্বকের জেল্লা ফেরাবে ড্রাগন ফল? ছবি:ফ্রিপিক।
শুরুতে মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাসের মতো কয়েকটি দেশেই এই ফলের চাষ হত। জন্মস্থান বিচার করলে একেবারেই বিদেশি, তবে এখন ভারতেও ড্রাগন ফ্রুট বেশ জনপ্রিয়। ভিতরটি লাল এবং সাদা, দুই ধরনের ড্রাগন ফল এখন বাজারে মেলে। ফলটি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই রসালো। পুষ্টিগুণও কম নয়। নানা রকম ভিটামিন এবং খনিজে সমৃদ্ধ এই ফল মুসাম্বি, বেদানা কিংবা খেজুরের সঙ্গে দিব্যি টক্কর দিতে পারে। পলিফেনল, ক্যারোটিনয়েডস সমৃদ্ধ এই ফলে ভিটামিন সি-ও বেশি পরিমাণে থাকে।
খাবেন না মাখবেন?
ঝকঝকে সুন্দর ত্বক পেতে শুধু রূপচর্চা যথেষ্ট নয়। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণের জন্য এটি অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। পাশাপাশি একটি টুকরো দিয়ে সেরে নিতে পারেন ত্বকের যত্নও। ড্রাগন ফ্রুটে থাকা ভিটামিন সি-এর জন্যই ত্বকের পরিচর্যায় কাজে লাগাতে পারেন ফলটিকে। রূপচর্চায় রকমারি ফলের ব্যবহার নতুন নয়। পেঁপে থেকে বেদানা, আপেল নানা ভাবে মুখে মাখা হয়, জৌলুস ফেরাতে। সেই তালিকায় ড্রাগন ফল কী ভাবে জুড়বেন?
মুখে দাগছোপ?
শুধু সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাবে নয়, মুখে নানা কারণে দাগছোপ হয়। সেই সব দাগ তুলে লাবণ্য ফেরাতে চাইলে মাখতে পারেন ফলটি। ড্রাগন ফুলের শাঁস চামচের সাহায্যে বার করে বেটে নিন। মুখে লাগিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করুন মিনিট দশেক। তার পর ধুয়ে ফেলুন।
শুষ্ক ত্বকের যত্ন
গোলাপজল, বেসন, ড্রাগন ফলের শাঁস, কাঁচা দুধ দিয়ে বানিয়ে নিতে হবে মাস্ক। শুষ্ক ত্বকে বলিরেখা পড়তে শুরু করলে এই ফলের গুণেই মুখে ফিরবে দীপ্তি। চার উপকরণ মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে হালকা হাতে মালিশ করুন। মিনিট ১৫ রেখে ধুয়ে ফেলুন। অবশ্যই মাস্কটি ব্যবহার করতে হবে পরিষ্কার ত্বকে।
তৈলাক্ত ত্বকে মাখবেন কী ভাবে?
শীতের দিনে সামান্য রেহাই মিললেও বছরের অন্য সময় কি মুখে তেলতেলে হয়ে থাকে? তা হলে আপনার ত্বক তৈলাক্ত। এই ধরনের ত্বকে ব্রণ, র্যাশ খুব সাধারণ সমস্যা। ড্রাগন ফলের শাঁস, লেবুর রস, গোলাপজল, দারচিনি গুঁড়ো দিয়ে বানিয়ে নিন মুখের মাস্ক। গরমের দিনে ব্যবহার করতে হলে মিশ্রণটি ফ্রিজে রাখতে পারেন। শীতের মরসুমে তার দরকার পড়বে না। পরিষ্কার মুখে মিশ্রণটি ২০-৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে নিন।