চুলের যত্ন নেবে কোন ভেষজ? ছবি- সংগৃহীত
পরিবেশের দূষণ, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং পরিচর্যার অভাবে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। বাড়তে থাকে চুল পড়ার সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু কোনও কারণে যদি চুল ঝরে পড়ার মাত্রা তার চেয়ে বেশি হয় বা ঝরে প়ড়া চুলের জায়গায় নতুন চুল যদি না গজায়, তখনই তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এই চুল পড়ার সমস্যা বংশগতও হতে পারে। এ ছাড়া শরীরে হরমোনের হঠাৎ পরিবর্তনেও চুল উঠে যেতে পারে। মহিলাদের সন্তান প্রসবের পর বা ঋতুবন্ধের পরও হরমোনের তারতম্যের কারণে চুল ঝরে যেতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নামীদামি প্রসাধনী ব্যবহার করেন অনেকে। আবার অনেকেই সাধারণ ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা রাখেন। তবে চুল যদি অস্বাভাবিক হারে উঠতে থাকে, তখন সাধারণ তেল বা ঘরোয়া টোটকা নয়। প্রয়োজন রোজ়মেরি পাতার নির্যাস।
রোজ়মেরি কেন চুলের জন্য উপকারী?
রোজ়মেরি নামক গাছের ফুল ও পাতা থেকে তেল তৈরি হয়। মূলত ভূমধ্যসাগরের কিছু অঞ্চলে বেড়ে ওঠা এই উদ্ভিদটি প্রসাধন সামগ্রী এবং ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এই ভেষজটি অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যৌগে ভরপুর। যা মাথার ত্বকে যে কোনও ধরনের সংক্রমণ রুখে দিতে পারে। এ ছা়ড়াও চুলের ফলিকলগুলিতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এই ভেষজের মধ্যে রয়েছে ‘কারনোসিক অ্যাসিড’ যা মাথার ত্বকের স্নায়ুগুলিকে উদ্দীপিত করে। যা নতুন চুল গজানোর পক্ষে সহায়ক।
চুলের যত্নে কী ভাবে ব্যবহার করবেন রোজ়মেরি?
বাজারে বিভিন্ন সংস্থার ‘এসেনশিয়াল অয়েল’ কিনতে পাওয়া যায়। যে কোনও তেলের মধ্যে ৪ থেকে ৫ ফোঁটা রোজ়মেরি অয়েল মিশিয়ে মাথার তালুতে মালিশ করা যেতে পারে। আবার অনেকেই তেল মাখতে পছন্দ করেন না। সে ক্ষেত্রে এই গাছের পাতা জলে ফুটিয়েও মাথার ত্বকে তা মেখে রাখা যেতে পারে। তবে অনেকেরই এই নির্যাস থেকে ত্বকে অ্যালার্জি বা অস্বস্তি হতে পারে। তাই সরাসরি রোজ়মেরি অয়েল ব্যবহার করার আগে সতর্ক হতে হবে। এ ছাড়াও অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করান যাঁরা, তাঁদেরও এই ভেষজ ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।