বাজারজাত সব পাউডারে রাসায়নিক না থাকলেও কৃত্রিম সুগন্ধি দেওয়া প্রসাধনী শিশুর ত্বকে জন্য নিরাপদ না-ও হতে পারে। ছবি- সংগৃহীত
প্রতি বার সদ্যোজাতর ভিজে পোশাক বা ডায়াপার বদলে ফেলার আগে এক পরত পাউডার বুলিয়ে নেওয়াই দস্তুর। ‘ন্যাপি র্যাশ’ হোক বা ঘাম, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই পাউডারের উপর ভরসা করেন। শিশুদের ত্বক অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তাই যে কোনও ধরনের প্রসাধনী তাদের ত্বকে ব্যবহার করা যায় না। বাজারে তাদের জন্য আলাদা প্রসাধনীও কিনতে পাওয়া যায়। তবে তা বাচ্চাদের জন্য কতটা নিরাপদ, সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। সম্প্রতি বাচ্চাদের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা এক সংস্থার পাউডারে ক্ষতিকর সব রাসায়নিক যৌগের উপস্থিতি রয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে। যা অভিভাবকদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। তবে সেই সমস্যারও সমাধান রয়েছে। শিশুর ত্বকের যত্নে ক্ষতিকর পাউডার নয়, ব্যবহার করুন অ্যারারুট।
শিশুর ত্বকের কোন কোন সমস্যা মেটাতে পারে অ্যারারুট?
ডায়াপার থেকে র্যাশ বা দেহের স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে ঘাম জমে কোনও রকম সংক্রমণ হলেও অ্যারারুট ব্যবহার করা যায়। হেঁশেলের এই উপাদানটি শিশুর ত্বকে কোনও রকম ক্ষতি তো করেই না। উল্টে গরমে ঘাম, অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে। এ ছাড়া বাজারজাত সব পাউডারে রাসায়নিক না থাকলেও কৃত্রিম সুগন্ধি দেওয়া প্রসাধনী শিশুর ত্বকে জন্য নিরাপদ না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ট্যালকাম পাউডারের বিকল্প হিসাবে অ্যারারুট ব্যবহার করা যেতেই পারে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন অ্যারারুট?
ভিজে পোশাক খুলে শিশুর দেহ শুকনো করে মুছিয়ে নিন। অ্যারারুট পাউডার ছড়িয়ে নিন। অতিরিক্ত পাউডার হাত দিয়ে ঝেড়ে ফেলেও দিতে পারেন। শিশুর ত্বক যদি শুষ্ক হয়, সে ক্ষেত্রে স্নানের আগে খাঁটি নারকেল তেলের সঙ্গে অ্যারারুট মিশিয়েও ব্যবহার করা যেতে পারে।