ঠোঁটে কি যে কোনও তেল মাখা যায়? ছবি: সংগৃহীত।
প্রসাধনী নিয়ে প্রতি নিয়ত পরীক্ষা চলতেই থাকে। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে দৌলতে লিপ অয়েল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। শুষ্ক ত্বকের যত্নে তেল মাখেন, চুলেও তেল মাখার চল বহু পুরনো। ইদানীং ত্বকের সমস্যা অনুযায়ী নানা রকম ফেশিয়াল অয়েল তৈরি করছে বিভিন্ন প্রসাধনী সংস্থা। ক্রিম, ময়েশ্চারাইজ়ার এবং সেরামের পাশাপাশি বিশেষ এই তেলগুলির চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। ফাটা ঠোঁটের যত্নে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখার চল নতুন নয়। তরুণ প্রজন্মের পছন্দ লিপবাম বা লিপ গ্লস। ঠোঁটের মরা চামড়া তুলতে ইদানীং এক্সফোলিয়েটরও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে রূপচর্চা বিশেষজ্ঞ এবং নেটপ্রভাবীরা বলছেন, ঠোঁটের যত্নে এত কিছুর প্রয়োজন পড়বে না যদি নিয়মিত লিপ অয়েল ব্যবহার করেন।
ঠোঁটে বামের বদলে তেল মাখলে কী হবে?
১) ঠোঁট আর্দ্র থাকে: বাম মাখার পরেও বার বার ঠোঁট শুকিয়ে যাচ্ছে? অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক হলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। দিনভর ঠোঁট আর্দ্র রাখতে বাম নয়, বেশি কাজ করবে অয়েল। বাড়িতে হোহোবা, নারকেল, আর্গনের মতো তেল মিশিয়েই কিন্তু লিপ অয়েল তৈরি করে ফেলা যেতে পারে।
২) কালচে ছোপ দূর করে: ধূমপান করার ফলে অনেকেরই ঠোঁটে কালচে ছোপ পড়ে। রাতে শোয়ার আগে নিয়মিত লিপ অয়েল মাখলে কালচে ছোপও দূর হয়। কষ্ট করে খুব ঘষতেও হয় না।
৩) মৃত কোষের সমস্যায়: ঠোঁটের কালচে ছোপ দূর করতে অনেকেই স্ক্রাব ব্যবহার করেন। স্ক্রাবের মধ্যে থাকা শক্ত দানাগুলি ঘষলে ঠোঁট ছড়ে যেতে পারে। লিপ অয়েল মাখলে সেই ভয় থাকে না। মৃত কোষ সহজেই দূর হয়। ঠোঁট থাকে গোলাপের পাপড়ির মতো নরম।