কোন হলুদে উপকার বেশি? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস অনেক দিন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে অতিমারির সময় থেকেই রাতে এক কাপ দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খেতে শুরু করেছিলেন। হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামক একটি উপাদান। যা একসঙ্গে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, আবার প্রদাহনাশকও। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে, লিভারের কার্যক্ষমতা এবং হজমশক্তি ভাল রাখতেও হলুদের ভূমিকা রয়েছে। পেশির ব্যথা, বাত, অস্থিসন্ধির সমস্যা বশে রাখতেও পরোক্ষ ভাবে সাহায্য করে এই ভেষজ। তবে কাঁচা হলুদ বেটে না কি শুকনো হলুদ গুঁড়ো করে, কোনটা শরীরের জন্য বেশি উপকারী?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, কাঁচা হলুদে ‘কারকিউমিন’-এর ভাগ বেশি। হলুদের মধ্যে থাকা উপাদানগুলি কাঁচা অবস্থাতেই বেশ সক্রিয় থাকে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ প্রক্রিয়াকরণের ফলে নষ্ট হয়ে যায় না। তাই পুষ্টিগুণের দিক থেকেও কাঁচা হলুদ ভাল।
অন্য দিকে, বাটাবাটির ঝক্কি এড়াতে হেঁশেলে গুঁড়ো হলুদের ব্যবহারই বেশি। কাঁচা হলুদের মতো গুঁড়ো হলুদ চট করে নষ্ট হয়ে যায় না। রান্নায় তো বটেই, যে কোনও পানীয়ে গুঁড়ো হলুদ মেশানো যায়। পরিমাণ বুঝতেও খুব একটা সমস্যা হয় না এবং সহজলভ্যও বটে। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, কাঁচা হলুদ রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করার সময়ে যে পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তাতে হলুদের গুণগত মান নষ্ট হয়। তবে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীর কিন্তু কাঁচা হলুদের চেয়ে গুঁড়ো হলুদ তাড়াতাড়ি শোষণ করার ক্ষমতা বেশি। ফলে কাঁচা হলুদের চেয়ে গুঁড়ো হলুদ যে শরীরে গিয়ে তাড়াতাড়ি কাজ করবে, সে কথা বলা যেতেই পারে। তবে নিশ্চিত ভাবে বলতে গেলে এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।