রুক্ষ চুলের সমস্যা থাকবে না। ছবি: সংগৃহীত।
শ্যাম্পু করার কিছু ক্ষণ পরই চুল উস্কোখুস্কো হয়ে যায়। রাস্তাঘাটে বেরোলে তা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। নামী-দামি শ্যাম্পু থেকে কন্ডিশনার কোনও কিছুর প্রভাবই দীর্ঘ স্থায়ী হয় না। ইদানীং অনেকেই আবার চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ভিজে অবস্থাতেই লিভ-ইন কন্ডিশনার ব্যবহার করেন। কিন্তু যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, চুলেও তার প্রভাব পড়ে। উপর থেকে রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনীর ব্যবহার মাথার ত্বককে আরও বেশি রুক্ষ করে দেয়। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, শুধু বাইরে থেকে প্রসাধনীর ব্যবহার কমালেই এই সমস্যা দূর হওয়ার নয়। জীবনধারায় বদল আনার পাশাপাশি তিনটি বিষয়ের উপর নজর দেওয়া জরুরি।
রুক্ষ চুলের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে কোন কোন বিষয়ে নজর রাখতে হবে?
১) পর্যাপ্ত জল খেতে হবে
জল কম খেলে যেমন ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, তেমন চুলও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। শীতের সময়ে জল খাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে শরীরে প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সরবরাহের কাজটি সহজ হয়। যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
২) মরসুমি ফল, সব্জি খেতে হবে
শুধু চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতেই নয়, চুলের মান ভাল রাখতেও মরসুমি ফল এবং সব্জি খাওয়া প্রয়োজন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে মরসুমি সব্জি এবং ফল খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৩) মদ্যপানে লাগাম টানতে হবে
শীতকাল জুড়েই চলে উৎসব পর্ব। ইচ্ছে থাকলেও মদ্যপানে লাগাম টানা সম্ভব হয় না। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, অতিরিক্ত অ্যালকোহল শরীর ডিহাইড্রেটেড করে দিতে পারে। শরীরে টক্সিনের মাত্রাও বেড়ে যেতে পারে এই অভ্যাসে। যার ফলে চুল, মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক।