ক্লাস চলছে স্কুলে। নিজস্ব চিত্র।
নিয়ম বলছে, ৪০জন পড়ুয়া পিছু ১জন করে শিক্ষক থাকার কথা। অথচ এই স্কুলে ৬০০ পড়ুয়ার জন্যে রয়েছেন ৪ শিক্ষক। অর্থাৎ ১৫০ পড়ুয়া পিছু এখানে রয়েছেন এক জন শিক্ষক। শিক্ষক-সঙ্কটে বাংলার শিক্ষককে ইংরেজি বা বিজ্ঞান পড়াতে হচ্ছে। কখনও বা শিক্ষকের অভাবে ক্লাসও করানো যাচ্ছে না। এমনই হাল উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের কাঁটাবেড়িয়া তরুণ সঙ্ঘ হাই স্কুলে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও সুফল মেলেনি।
১৯৬৯ সালে পথচলা শুরু এই স্কুলের। সেই সময় থেকে প্রধান শিক্ষক নেই এই স্কুলে। ছিলেন টিচার ইন চার্জ। প্রথম দিকে ৮ শিক্ষকের ভরসায় চলত স্কুল। ২০০৬ সালে শিক্ষকের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬তে। সেই সময় পড়ুয়া ছিল। ২০১৪ সালে শেষ স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল স্কুলে।
সমস্যার সূত্রপাত এর পরেই। বর্তমান টিচার ইনচার্জ মৌসুম সাহু জানান, ধীরে ধীরে শিক্ষকরা অবসর নিতে শুরু করেন। আবার অনেকে বদলিও হয়ে যান। কিন্তু এখানে বদলি হয়ে নতুন কোনও শিক্ষক আসেননি। গত ১০ বছরে তাই শিক্ষকের সংখ্যা আর বাড়েনি। উল্টে কমেছে। মৌসুম বলেন, ‘‘বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নেই। বাংলা শিক্ষক চার জন আছেন। তাদেরকেই জীবন বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞান পড়াতে হচ্ছে। প্রত্যেকদিন দুটি করে ক্লাস ফাঁকা যাচ্ছে। ক্লার্ক না থাকার জন্য সমস্ত কাজ টিচার ইনচার্জকে করতে হচ্ছে।’’
বিষয়টি শুনে হাওড়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক সুজিত হাইত বলেন, ‘‘এমন তো জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। যদি কোনওভাবে আংশিক সময়ের জন্য শিক্ষক নিয়োগ করা যায়, তার চেষ্টা করা হবে।’’