Skin care

সামনে থেকে দেখলে মনে যেন হবে কলেজপড়ুয়া, রূপের রহস্য নিজেই খোলসা করলেন ‘ঠাকুরমা’

বয়স ৬০ পেরিয়েছে। দেখে তা বোঝার উপায়। কম বয়সিদের সঙ্গে পাল্লা দেবেন সমান তালে। ত্বকের এমন জেল্লার রহস্য প্রকাশ করলেন দুই নাতির ঠাকুরমা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩৮
Image of Granny.

বাড়িতে যে তাঁর নাতি-নাতনি রয়েছে, তাঁকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই। ছবিঃ সংগৃহীত

বয়স সংখ্যা মাত্র। ফের তা মনে করালেন আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা ৬৫ বছর বয়সি কিউবিকি গোঞ্জালেজ। যাঁর বয়স অধিকাংশেই ৩০ ভেবে ভুল করেন। অবশ্য সে ভুল করার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। গোঞ্জালেজকে দেখলে অনায়াসে কলেজপড়ুয়া বলে চালিয়ে দেওয়া যাবে। কিন্তু বাড়িতে যে তাঁর নাতি-নাতনি রয়েছে, তাঁকে দেখে তা বোঝার উপায় নেই।

বিমানবন্দরে চাকরি করতেন। কয়েক বছর হল স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন গোঞ্জালেজ। তার পর থেকেই নিজের যত্নআত্তিতে মন দিয়েছেন। ছেলে-মেয়ের বিয়ে দিয়ে তিনি এখন নিশ্চিন্ত। জীবনের এই সময়টা তাই নিজের মতো করে উপভোগ করতে চান তিনি। সামাজমাধ্যমে তিনি বেশ সক্রিয়। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যাও অনেক। তাঁর চালচলন, আধুনিক পোশাক, মেদহীন শরীর ছাপিয়ে গিয়ে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে তাঁর ত্বকের জৌলুস। ৬০ পেরিয়েও এমন জেল্লাদার ত্বক, মোটেই সহজ বিষয় নয়। অবশ্য এর জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেন। অনেক কম বয়সি অনুরাগী তাঁর কাছে জানতে চান, তিনি কী ভাবে ত্বকের যত্ন নেন। সম্প্রতি একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়োর মাধ্যমে রূপচর্চার রুটিন সম্পর্কে জানিয়েছেন।

Advertisement

গোঞ্জালোর মতে, রূপচর্চা করা মানেই নানা রকম প্রসাধনীর ব্যবহার নয়। শরীরচর্চাও একটি ধাপ। প্রতি দিন টেনিস খেলেন তিনি। খেলাধুলো করলে ঘামের মধ্যে দিয়ে ত্বকে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বাইরে বেরিয়ে আসে। রোজ সকাল এবং রাতে চুলে স্পা করেন তিনি। সারা দিন ধরে বিভিন্ন সময়ে ত্বকের যত্ন নেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ক্রিম এবং সিরাম গোঞ্জালোর ত্বকের চর্চার অন্যতম উপকরণ। বাইরে বেরোনোর আগে এসপিএফ ৫০-এর সানস্ক্রিন মাখতে ভোলেন না। ত্বক পরিচর্যায় প্রতি মাসে কয়েক হাজার টাকা খরচ করেন বৃদ্ধা। শেষে চকচকে ত্বকের আরও একটি গোপন রহস্যের কথা জানিয়েছেন। গোঞ্জালোর দাবি, তাঁর স্বামী স্টিফেন জোনসের ভালবাসাও তাঁকে এত সুন্দর থাকতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন
Advertisement