কর্টিজল হরমোনের ক্ষরণ বেশি হলেই মুখে ব্রণর আধিক্য দেখা যায়। ছবি- সংগৃহীত
কথায় বলে মুখই হল মনের আয়না। মনের গভীরে কোনও অসুখ বাসা বাঁধলে, তার ছাপ মুখে ফুটে উঠবেই। সে আপনি যত প্রসাধনীই ব্যবহার করুন না কেন, মনের খবর চাপা থাকবে না। কম বয়সে ব্রণ, র্যাশ, চোখের তলার কালচে দাগ, নিষ্প্রভ ত্বক, তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যাকে আমরা খুব একটা গুরুত্ব দিই না। কারণ বয়ঃসন্ধিজনিত সমস্যা, হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়া, পড়াশোনায় বা কর্মক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা, এ সব সবার মধ্যেই থাকে। তবে, একটি বয়সের পর এই লক্ষণগুলি ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকলে, আমরা বাইরে থেকে তা সারানোর চেষ্টা করি। কিন্তু মনের কথা চট করে আমাদের মাথায় আসে না। পাশে থেকেও অনেকে এড়িয়ে যান এই বিষয়টি। মনের সঙ্গে ত্বকের নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। মানসিক চাপ বৃদ্ধিতে সহায়ক কর্টিজল হরমোনের ক্ষরণ বেশি হলেই মুখে ব্রণর আধিক্য দেখা যায়। এ ছাড়া, আরও কিছু লক্ষণ আছে, যেগুলি দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন, কাছের মানুষজন অবসাদে ভুগছেন কি না।
১) রোদে পোড়া ত্বক
এমনিতে রোদে বেশি ক্ষণ থাকলে, ত্বকে কালচে ছোপ পড়া স্বাভাবিক। অনেকেই গরমে, ঘামে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু মানসিক চাপে থাকা মানুষজনের ত্বকের কালচে ভাব আলাদা করে চোখে পড়ে।
২) অতিরিক্ত স্পর্শকাতর ত্বক
অতিরিক্ত চিন্তা, মানসিক চাপ, হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। ফলে ত্বক স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। ত্বকে নানা রকম সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়।
৩) ত্বক থেকে অতিরিক্ত সেবাম নিঃসরণ
মানসিক চাপের সঙ্গে ব্রণর দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক, বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে। গবেষণা বলছে, হৃদয় বিদারক কোনও ঘটনার সঙ্গে ত্বকের স্নায়ুর সরাসরি যোগ রয়েছে।
৪) চুল পাতলা হয়ে যাওয়া
ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে খুশকি, চুল পড়ার মতো সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু কর্টিজল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে, চুল পড়াও অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়।
৫) ত্বকের উপরিভাগ পাতলা হয়ে যাওয়া
হঠাৎ যদি দেখেন ত্বকের উপরিভাগ পাতলা হয়ে যাচ্ছে, তার জন্য দায়ী কিন্তু কর্টিজল হরমোন।