ছবি- সংগৃহীত
গরমের তপ্ত দুপুরে মুখের জ্বালা ভাব কমাতে বাড়ি ফিরেই ফ্রিজ থেকে বরফ বার করে মুখে ঘষতে শুরু করলেন। আবার অনেকে ওয়াক্সিং করার পরও মুখে বরফ দেন। আগে কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে অনেকেই মুখে বরফ ঘষার রেওয়াজ ছিল। বলিউডের অনেক তারকাই সকালে ঘুম থেকে উঠে এক পাত্র বরফ ভর্তি জলে সটান মুখ ডুবিয়ে দেন নিয়মিত। সমাজমাধ্যমে সেই ছবি ঘোরাফেরা করে মাঝে মধ্যেই। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে এমন অভ্যাস কি আদৌ ভাল? এই নিয়ে যদিও বিতর্কের শেষ নেই। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সাময়িক ভাবে ত্বকের জ্বালা, ফোলা, লালচে ভাব, প্রদাহ কমিয়ে ফেলতে পারলে এই অভ্যাসের দীর্ঘমেয়াদি ফল মোটেও ভাল নয়। বরফ ঘষার আগে জেনে রাখা প্রয়োজন ত্বকের জন্য তা কেন ক্ষতিকর।
১) স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষতি
অন্যান্য ত্বকের চেয়ে স্পর্শকাতর ত্বকে বরফ ক্ষতি করে বেশি। এই ধরনের ত্বকে স্নায়ুগুলি এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত থাকে। তার উপর সরাসরি বরফ ঘষলে উদ্দীপকগুলি বিপরীত প্রতিক্রিয়া করে। যার ফলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। ত্বকে অস্বস্তি বাড়তে থাকে।
২) ত্বক জেল্লা হারায়
ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল না হলে ত্বক ঔজ্জ্বল্য হারায়। মুখে সরাসরি বরফ দেওয়ার ফলে রক্তবাহিকাগুলিতে থাকা রক্ত কোষগুলির গতি রুদ্ধ হয়। ফলে মুখ ফ্যাকাশে দেখাতে পারে।
৩) ফ্রস্টবাইট
মুখে নিয়মিত বরফ ঘষলে ত্বকে ফ্রস্টবাইটও হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তবে শুধু মুখ নয়, শরীরের যে কোনও জায়গায় অতিরিক্ত ঠান্ডা কিছু লাগলে সেখানে এমন ‘বরফের কামড়’ লেগে কালসিটে পড়তে পারে।
৪) রোদ লাগলে ক্ষতি
মুখে বরফ দিয়ে রোদে বেরোলে বা রোদ থেকে এসে মুখে বরফ ঘষলে, ত্বকের জন্য ক্ষতি। ঠান্ডা লাগা বা মাথা যন্ত্রণা ছাড়াও ত্বকের তাপমাত্রায় হঠাৎ এই পরিবর্তন, স্পর্শকাতর ত্বকের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
৫) ক্ষত সারাতে পারে না
অনেকেই মনে করেন, ত্বকে কোনও রকম ক্ষত সৃষ্টি হলে তা সারাতে বরফ কার্যকরী। কিন্তু এই বরফ সাময়িক আরাম দিলেও ক্ষত সারাতে পারে না। উল্টে কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।