Health Tips

রাতে খাওয়ার পর কয়েকটি অভ্যাসেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজন, ভাল থাকবে শরীর

রাত খাওয়ার পর কয়েকটি ভুল অভ্যাস বিপদের কারণ হতে পারে। কোন নিয়ম মানলে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৪ ২০:৪৩
রাতে খাওয়ার পর কোন অভ্যাসে বশে থাকবে ওজন?

রাতে খাওয়ার পর কোন অভ্যাসে বশে থাকবে ওজন? —প্রতীকী ছবি।

দিনভর কাজের শেষে বাড়ি গিয়ে পেট পুরে পছন্দের খাবার খাওয়া, খানিক ক্ষণ মোবাইল ঘেঁটে ঘুম। বহু মানুষের দৈনন্দিন রুটিন এমনটাই। কিন্তু, বেশি রাতে পেট ভরে খাওয়া, তার পরেই বিছানায় চলে যাওয়ার অভ্যাস রয়েছে বেশির ভাগেরই। জানেন কি, এই অভ্যাস যেমন ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে, তেমনই নানা রোগের জন্মও দিতে পারে?

Advertisement

বরং রাতের খাওয়া শেষে কয়েকটি ভাল অভ্যাস শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারে।

১. রাতের খাওয়া হওয়া দরকার পরিমিত। বিরিয়ানি থেকে তেল-মশলাদার খাবার পাতে থাকলে, খানিক পরে পেটও তার উত্তর দিতে পারে। অম্বল, বুক জ্বালা, শরীরে অস্বস্তির জেরে ঘুম না আসায় শরীরেই ক্ষতি হবে। বেশি রাত না করে, পরিমিত ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে বশে থাকবে ওজন। ভাল থাকবে শরীর।

২. খাওয়ার পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটা কিন্তু বাধ্যতামূলক। ছাদ থাকলে, খোলা হাওয়ায় পায়চারি করলে মনও ভাল লাগবে। খাবার হজমেও সাহায্য হবে।

৩. রাতে যদি চা পানের ইচ্ছা হয়, তবে আদা, পেপারমিন্ট ফুটিয়ে ভেষজ চা করে নিতে পারেন। এই চায়ে চুমুক দিলে মন-মেজাজ যেমন ভাল হবে, তেমনই হজমের সমস্যাও কমবে।

৪. খাওয়ার সময় জল খাওয়া ঠিক নয়। তবে খাওয়ার ১৫-২০ মিনিট পরে এক গ্লাস জল খাওয়া দরকার। শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদনের জন্য জলের প্রয়োজন।

৫. ঘুমের সমস্যা থাকলে শোয়ার আগে শ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার এই ব্যায়ামে মন শান্ত হয়। মন শান্ত থাকলে দ্রুত ঘুমও আসে।

কোন ভুল ভুলেও নয়

বেশি রাত পর্যন্ত মদ্যপান, বার বার ধূমপান অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে ঘুমের বারোটা বেজে যায় যেমন, তেমন শরীরেও ক্ষতি হয়। এ ছা়ড়া, তেল-মশলাদার খাবার, অত্যধিক পরিমাণে খাওয়াও সমস্যার কারণ হতে পারে।

ওজন কমাতে সু-অভ্যাস

ওজন কমানোর চেষ্টা যাঁরা করছেন, তাঁরা যদি রাতের খাবার খাওয়ার পর নিয়মগুলি না মানেন, তা হলে কিন্তু শরীরচর্চা করেও অধরা থেকে যেতে পারে ফল। বিশেষত, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বিপাকহার কমে যায়। যা ওজন না কমার অন্যতম কারণ হতে পারে।

আরও পড়ুন
Advertisement