Weight Loss Tips

ঘাম ঝরিয়েও লাভ হচ্ছে না? সব্জি-ফলের রসেই বশে থাকবে বাড়তি ওজন

ওজন কমানোর জন্য চেষ্টাচরিত্র করেও আশানুরূপ ফল মিলছে না? তা হলে বরং সকালে উঠে চুমুক দিতে পারেন এই পানীয়ে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৪ ১০:২২
ওজন কমাবে বিশেষ পানীয়।

ওজন কমাবে বিশেষ পানীয়। —প্রতীকী ছবি।

ওজন কমানোর জন্য বহু কসরত করেও লাভ হচ্ছে না! সকালে দৌড়চ্ছেন, গ্রিন টি-তে চুমুক দিচ্ছেন, পাতে থাকছে পরিমাপ অনুয়ায়ী কার্বোহাই়়ড্রেট, প্রোটিন, ভাল ফ্যাট। তা-ও আশাপ্রদ ফল পাচ্ছেন না! তা হলে বরং এ সবেরই মাঝেই চুমুক দিন বিশেষ পানীয়ে। রসের জেরেই বশে থাকবে ওজন।

Advertisement

এই পানীয় প্রস্তুতির মূল উপাদান হল মুলো। শীতকালে ভাল মানের মুলো পাওয়া গেলেও, ইদানীং বছরভরই শীতের সব্জি মেলে। বাজারে খোঁজ করলে তাই এই সব্জিও পাওয়া যাবে। সঙ্গে লাগবে গাজর, আপেল, কমলালেবু, আদা, হলুদ। প্রতিটি উপাদানেরই নিজস্ব গুণ আছে।

জল ও ফাইবারে পরিপূর্ণ মুলোতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশ কম। মুলো খেলে পেট ভরে, অথচ ক্যালোরি কম যায়। তাই রোগা হওয়ার লড়াই যাঁরা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য মুলো বেশ উপকারী। পাশাপাশি বিপাকহার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে সব্জিটি। আপেলেও রয়েছে প্রচুর ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ। অথচ ক্যালোরির পরিমাণ বেশ কম। কমলালেবু ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ। যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ পাতিলেবু। এ ছাড়াও যে সমস্ত উপাদান বিশেষ পানীয়টি তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে, তার প্রতিটির নিজস্ব পুষ্টিগুণ রয়েছে।

এই পানীয় শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করবে না, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, হজমশক্তি বাড়াতে, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতেও এটি কার্যকর।

কী ভাবে তৈরি করবেন এই রস বা পানীয়?

উপকরণ

৬টি মুলো

৩টি গাজর

১টি বড় আপেল

১টি কমলালেবু

১টি পাতিলেবু

আধ ইঞ্চি আদা

সামান্য হলুদ ও জল

প্রণালী

মুলো ও গাজর ধুয়ে উপরের খোসাটি ছাড়িয়ে কুচিয়ে নিতে হবে। আপেলও কেটে বীজগুলি ফেলে দিতে হবে। কমলালেবু খোসা ছাড়িয়ে কোয়া বার করে বীজগুলি ফেলে দিতে হবে। আদাও খোসা ছাড়িয়ে কুচো করে নিতে হবে। এবার সব ক’টি উপকরণ মিক্সারে নিয়ে বেটে ছেঁকে নিতে হবে। একদম শেষে মিশিয়ে দিতে হবে পাতিলেবুর রস।

বরফকুচি যোগ করে এই রস খেলেই ছিপছপে চেহারা, সুস্থ শরীরের স্বপ্ন আর অধরা থাকবে না। প্রতিদিন ১ গ্লাস করে এই পানীয় খেলে বশে থাকবে ওজন। তবে এর সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা, জল খাওয়া, সুষম ও পরিমিত খাদ্যগ্রহণ প্রয়োজন।

আরও পড়ুন
Advertisement