বোটক্স করা চুলের যত্ন! ছবি: সংগৃহীত।
স্ট্রেটনিং, স্মুদনিং, কেরাটিন অতীত! কেশচর্চার জগতে নতুন সংযোজন হল বোটক্স। কেশচর্চা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রুক্ষ নির্জীব, নিষ্প্রাণ চুল সাময়িক ভাবে রেশমের মতো করে তুলতে এই সমস্ত ট্রিটমেন্ট ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে এই ধরনের কায়দা করতে নানা রকম রাসায়নিক প্রসাধনী, তাপ চুলের উপর প্রয়োগ করা হয়। তার ফলে চুল, মাথার ত্বকের ক্ষতি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে, নানা রকম ট্রিটমেন্টের মধ্যে তুলনায় কম ক্ষতিকর হল বোটক্স। তাই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই ট্রিটমেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তবে বোটক্স করানোর পরেও অনেকের চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। তার দায় পুরোটা রাসায়নিকের নয়। চুল, মাথার ত্বক ভাল রাখতে গেলে বোটক্স করা চুলেরও সঠিক যত্নের প্রয়োজন হয়।
বোটক্স টিট্রমেন্ট করানোর পর চুলের যত্ন কী কী করবেন?
১) এই ধরনের রাসায়নিক ট্রিটমেন্ট করানোর পর চুলে সাধারণ শ্যাম্পু করা ব্যবহার করা যায় না। বোটক্সের প্রভাব দীর্ঘায়িত করতে এবং মাথার ত্বকের ক্ষতি এড়াতে সালফেট-বিহীন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
২) যে কোনও রাসায়নিক ব্যবহারের পর মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়তেই পারে। ক্ষেত্র বিশেষে চুল পড়া, খুশকির উপদ্রব বে়ড়ে যায়। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চুলে ময়েশ্চারাইজ়িং মাস্ক মাখতে হয়।
৩) বোটক্স করানোর পর অন্তত মাসখানেক চুলে কোনও রকম তাপ না দেওয়াই ভাল। তাতেও কিন্তু চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
৪) এই ট্রিটমেন্ট করানোর পর চুলে বা মাথার ত্বকে সরাসরি রোদ না লাগানোই ভাল। একান্ত যদি বেরোতেই হয়, সে ক্ষেত্রে ছাতা, টুপি, স্কার্ফ মাথায় দিয়ে বেরোতে হবে।
৫) মাথার ত্বক ভাল রাখতে এই ট্রিটমেন্ট করানোর অন্তত সপ্তাহ দুয়েক পর থেকে তেল মালিশ করা যেতে পারে। প্রয়োজনে নারকেল তেলের সঙ্গে মেথি, কালোজিরে, জবাফুল ফুটিয়ে মাথায় মাখা যেতে পারে।