— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর— সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে এই সতর্কবাণী চোখে পড়ে সর্বত্র। ধূমপান করলে শুধু যে ধূমপায়ীর ক্ষতি হয়, তা তো নয়। সেই ধোঁয়া যাঁদের শরীরে প্রতি দিন প্রবেশ করছে, ক্ষতি তাঁদেরও হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, প্যাসিভ স্মোকিং বা পরোক্ষ ধূমপানে ক্ষতির পরিমাণ তুলনায় কম। কিন্তু সিগারেট খান না বলে যে নিশ্চিন্ত থাকবেন, সেই উপায়ও নেই। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং শিশুদের ক্ষেত্রে এই পরোক্ষ ধূমপানের ফল কিন্তু মারাত্মক হতে পারে। ঠিক কী ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে পরোক্ষ ধূমপান?
১) শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা:
বারোমাসই কাশি হতে পারে। ধূমপায়ীদের আশপাশে থাকলে ক্রনিক শ্বাসনালির রোগ, ব্রঙ্কাইটিস এবং নিউমোনিয়া হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বিশেষ করে, শিশুদের নাকে সিগারেটের ধোঁয়া ঢুকলে ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে অ্যালার্জি, হাঁপানি, অ্যাজ়মায় ভোগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
২) ফুসফুসের ক্যানসার:
নিজে ধূমপান করেন না, অথচ দিনের বেশির ভাগ সময়েই ধূমপায়ীদের আশপাশে থাকতে হয়। এমন ব্যক্তিদের ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। তামাকের মধ্যে থাকা বেঞ্জিন এবং ফর্ম্যালডিহাইড ফুসফুসের কোষগুলির লাইনিং ধ্বংস করে। পরবর্তী কালে সিওপিডি-র মতো রোগ দেখা দিতে পারে।
৩) হার্টের সমস্যা:
পরোক্ষ ধূমপানে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। সিগারেটের মধ্যে থাকা রাসায়নিকগুলি রক্তবাহিকা, ধমনীর পথ ক্রমশ সরু করে তোলে। ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।
৪) মানসিক স্বাস্থ্য:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পরোক্ষ ধূমপান মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব বিস্তার করতে পারে। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অবসাদও বাড়িয়ে তুলতে পারে। শিশুদের কোনও কিছু শেখার ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
৫) দাঁত, মুখগহ্বরের সমস্যা
নিজে সিগারেট না খেলেও এই বস্তুটির মধ্যে থাকা রাসায়নিক মাড়ি, দাঁত কিংবা মুখগহ্বরের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলতে পারে।