কোন বয়সে কী সেরাম মাখবেন? ছবি- সংগৃহীত
ত্বকের যত্নে ক্রিম, টোনারের ব্যবহার ছিলই। নিজের গুণেই জায়গা পাকা করে নিয়েছে সেরামও। বিশেষ করে এই আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে ত্বকের যত্নে মুখে সিরাম ব্যবহার করা জরুরি। ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র রাখতে, ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতে এবং শুষ্ক ত্বকের যত্নে সিরাম উপকারী। তবে সেরাম মাত্রেই যে ত্বকের জন্য ভাল, তা কিন্তু নয়। কোন ত্বকের জন্য কী ধরনের সেরাম প্রয়োজন তা বলতে পারেন এক মাত্র বিশেষজ্ঞরাই। দোকান থেকে সেরাম কেনার সময়ে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখলে আপনিও সেরাম কিনতে পারেন।
সেরাম কেনার সময়ে কী কী মাথায় রাখবেন?
১) ত্বকের ধরন বুঝে সিরাম কিনুন
প্রত্যেকের ত্বকের ধরন আলাদা। কারও ত্বক তৈলাক্ত, কারও শুষ্ক আবার কারও অতিরিক্ত শুষ্ক। যাঁদের মুখে ব্রণর সমস্যা আছে, তাঁরা স্যালিসিলিক অ্যাসিড, রেটিনল, নিয়াসিনামাইডযুক্ত সেরাম ব্যবহার করতে পারেন। আবার, শুষ্ক ত্বকের যত্নে হায়লোরনিক অ্যাসিডযুক্ত সেরাম ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের তেমন কোনও সমস্যা না থাকলে ভিটামিন সি আছে এমন সেরাম ব্যবহার করতে পারেন।
২) বয়স অনুযায়ী সিরাম কিনুন
যেহেতু সেরামের মধ্যে সমস্ত যৌগগুলি সক্রিয় ভাবে থাকে, তাই চাইলেই যে কোনও বয়সে, যে কোনও সেরাম ব্যবহার করা যায় না। তাতে সমস্যা কমার বদলে উল্টে বেড়ে যায়। ২০ বছর পর্যন্ত বিশেষ কোনও সমস্যা না থাকলে সাধারণ ‘সিটিএম’ই যথেষ্ট বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, যদি অল্প বয়স থেকে ব্রণর সমস্যা থাকলে নিয়াসিনামাইডযুক্ত সেরাম ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩) ত্বকের সমস্যা বুঝে
মুখে অবাঞ্ছিত দাগ-ছোপ থাকলে আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিডযুক্ত সেরাম ব্যবহার করতে পারেন। মুখের তারুণ্য ধরে রাখতে চাইলে রেটিনলযুক্ত সেরাম ভাল কাজ দেয়। মুখে ব্ল্যাকহেডস্, হোয়াইট হেডস্-এর সমস্যা থাকলে স্যালিসিলিক অ্যাসিডযুক্ত সেরাম ব্যবহার করলে ভাল ফল দেবে।
তবে সেরাম ত্বকের জন্য ভাল বলেই একসঙ্গে সব রকম মাখতে শুরু করা যাবে না। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তবেই সেরাম ব্যবহার করবেন।