বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরচর্চা ধরন বা সময়ে পরিবর্তন আনতে হবে। ছবি- সংগৃহীত
স্বাস্থ্য সচেতন যাঁরা, প্রতিদিন সকাল হতে না হতেই জিমে যান, তা না হলে নিদেন পক্ষে প্রাতর্ভ্রমণে তো করা চাই-ই চাই। প্রথম দিকে হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করলেও প্রত্যেকেরই লক্ষ্য থাকে ধীরে ধীরে শরীরচর্চার সময় আরও বাড়িয়ে তোলা এবং আরও কঠিন পরিশ্রম করা। কিন্তু এই পরিশ্রম আপনার শরীরের জন্য আদৌ ভাল? গবেষণা কী বলছে?
২০২১ সালে ৯০০০ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও মহিলাকে নিয়ে করা হয় একটি সমীক্ষা। অংশগ্রহণকারীরা সকলেই শারীরিক ভাবে সক্রিয়। তাঁদের উপর নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন শরীরচর্চার সঙ্গে আয়ুক্ষয়ের আদৌ কোনও সম্পর্ক আছে কিনা।
১) বেশি শরীরচর্চা করা ভাল?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে ৫ ঘণ্টার বেশি শরীরচর্চা করলে অনেক ক্ষেত্রেই তার খারাপ কুপ্রভাব পড়ে শরীরের উপর। এমনকি, তুলনায় কম পরিশ্রম করেন যাঁরা, তাঁদের গড় আয়ুও বেশি হয়।
২) হৃদ্যন্ত্রের ক্ষতি হয় কি?
আমেরিকার কলেজ অফ কার্ডিয়োলজি থেকে প্রকাশিত পত্রিকায় একটি গবেষণা জানাচ্ছে, ১০-১২ বছর টানা, সপ্তাহে পাঁচ দিন এবং প্রতিদিন ৬০ মিনিট করে শরীরচর্চা করলে, তা হার্টের ধমনীগুলি নমনীয়তা হারিয়ে ফেলে। শুধু তা-ই নয়, শরীরে বিভিন্ন উৎসেচকের ভারসাম্যও নষ্ট করে।
৩) দৌড়লেও ক্ষতি হয়?
অনেকেই মনে করেন জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার ফল সুদূরপ্রসারী হয় না। তাই দৌড়নোকেই শ্রেষ্ঠ ব্যায়াম হিসাবে ধরে নেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টার বেশি দৌড়নো স্বাস্থ্যের জন্য খারাপই। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে অস্থিসন্ধির যথেষ্ট ক্ষতি হয়।
৪) ৪০-এর পর শরীরচর্চা কেমন হবে?
অল্প বয়স থেকে শরীরচর্চা করেন যাঁরা, তাঁরা অনেকেই মনে করেন ৪০ বা ৫০-এর পরও বোধ হয় একই ভাবে শরীরচর্চা করা যায়। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরচর্চা ধরন বা সময়ে পরিবর্তন আনতেই হবে। না হলে সমূহ বিপদ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরচর্চার পরিমাণ কমিয়ে আনাই স্বাভাবিক। কোনও যন্ত্রপাতির সাহায্য ছাড়াই সাধারণ যোগ, প্রাণায়াম, সাইকেল চালানো, বাগান করা, গাড়ি ধোয়া, সকালে-বিকেলে অল্প হাঁটাহাটি করা যথেষ্ট।