কোন পোশাকের সঙ্গে নাকে কেমন গয়না পরতে পারেন? ছবি: সংগৃহীত।
পরনে শাড়ি থাক বা স্কার্ট, জিনসের সঙ্গে ক্রপ টপ কিংবা শর্ট ড্রেসও পরতে পারেন। তার সঙ্গে নাকে ইয়াব্বড় একটা নাকছবি! কিছু দিন আগে হলে হয়তো অনেকেই এই বিষয়ে অনেকেই মুখ বাঁকাতেন। কিন্তু, এখন এটাই ট্রেন্ড! সেই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছেন কলেজ পড়ুয়া থেকে মধ্যবয়সি, সকলেই। নোজ় পিয়ার্সিং-এর দিকে ঝুঁকছেন বিভিন্ন বয়সিরা। নাকে গয়না পরার রীতি নতুন নয়। বিয়েতে, বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানে সাবেকি সাজের সঙ্গে নাকে সোনার নথ, নাকছাবি পরার চল বহু প্রাচীন। তবে, পশ্চিমি কায়দার পোশাকের সঙ্গে সাবলীল ভাবে খাঁটি ভারতীয় এই গয়না পরার চল নতুন। নাকছাবিরও কিন্তু রকমফের আছে। পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে কখনও নোলক, কখনও নথ, আবার কখনও নথনিও পরছেন মেয়েরা। খুব বেশি গয়না পরতে যাঁরা পছন্দ করেন না, তঁদের জন্য রুপোর হালকা নাকফুলও রয়েছে।
কোন পোশাকের সঙ্গে নাকে কেমন গয়না পরতে পারেন?
১) মিনে করা নাকছাবি:
রুপোর গয়না পরতে ভালবাসেন অনেকেই। রুপোর নাকছাবি যে কোনও পোশাকের সঙ্গেই পরা যায়। হ্যান্ডলুম বা মলমলের শাড়ির সঙ্গে রুপোর ফুল কিংবা মিনে করা জ্যামিতিক নাকছাবি ভাল লাগবে।
২) কপ্পু নাকছাবি:
কর্ণাটকের ঐতিহ্যমণ্ডিত কসুটি শিল্পের অনু্প্রেরণায় তৈরি এই নাকছাবির নকশা। সেখানকার আদিবাসীদের সেলাই করার কায়দাই দেখা যায় এই নাকছাবির নকশায়। এই গয়না খুব একটা ভারী হয় না। শাড়ি, সালোয়ার, ড্রেস, সব পোশাকের সঙ্গেই মানায়।
৩) মরাঠি নথ:
মরাঠি মহিলাদের নথ এখন বাঙালিরা অনেক সময়েই পরে থাকেন। কিছু কিছু দক্ষিণী শাড়ির সঙ্গে দিব্যি মানিয়েও যায় এই ধরনের নথ। রঙিন পাথর বা মুক্তো বসানো নথ পরলে চেহারা চট করে অনেকটা বদলে যায়।
৪) বেসর ও নোলক:
বেসরের মূল আকর্ষণ হল এর কারুকাজ। মূলত এই গয়নার নকশাই নজর কেড়ে নেয়। আর নোলক পরা হয় নাকের ঠিক মাঝখানে, মাঝে লাগানো থাকে একটি ঝালর। সাধারণত আগেকার দিনে অল্পবয়সি মহিলারা নোলক পরতেন। যুগ বদলানোর সঙ্গে আবারও ফিরে এসেছে এই গয়নাটি।
৫) স্পাইরাল রিং:
সরু তার দিয়ে তৈরি হয় নাকছাবি। অনেকে নাকছাবির মতো করে এই গয়না পরেন। আবার, অনেকে পছন্দ করেন ‘স্পাইরাল রিং’-এর মতো করে পরতে। ভারতীয় পোশাক তো বটেই, পশ্চিমি যে কোনও পোশাকের সঙ্গে পরলেও দেখতে ভাল লাগে।