— প্রতীকী চিত্র।
কাজ থেকে ফিরে প্রতি দিন একটার পর একটা নানা রকম প্রসাধনী মাখার ধৈর্য অনেকেরই থাকে না। বাড়ি ফিরে রাতে খাবার ব্যবস্থা, বাচ্চার আবদার রাখতে গিয়ে অনেক সময়েই নিজের দিকে তাকানোর সময় হয় না। কোনও মতে ফেসওয়াশ মুখে বুলিয়ে তার উপর ক্রিম মেখে নেন। অথচ ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা মেটাতে যে শুধু ফেসওয়াশ যথেষ্ট নয়, তা জানেন? ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুলে ধুলো-ময়লা পরিষ্কার হয় ঠিকই। কিন্তু তা ত্বকের গভীরে গিয়ে ত্বক থেকে ধুলো-ময়লা টেনে বার করে আনতে পারে না। সপ্তাহান্তে একটা দিন সালোঁয় গিয়ে ‘ক্লিন আপ’ করাই যায়। কিন্তু ছুটির দিন বেরোতে ইচ্ছে করে না। তবে বাড়িতেই কিন্তু একটু সময় ব্যয় করলে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়।
১) ত্বক পরিষ্কার এবং এক্সফোলিয়েট
প্রথমে মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিজের ত্বকের ধরন বুঝে ফেসওয়াশ কেনাই ভাল। এ বার ওই ভিজে মুখেই মিহি দানাযুক্ত স্ক্রাব মাখবেন। ত্বক যদি খুব শুষ্ক হয়, সে ক্ষেত্রে আখরোটের খোসা দেওয়া স্ক্রাব ভাল।
২) গরম জলের ভাপ নেওয়া
এক্সফোলিয়েট করার পর মুখে গরম জলের ভাপ নিতে হবে। গরম জলের বাষ্প, মুখের রন্ধ্রগুলিকে উন্মুক্ত করতে সাহায্য করে। ফলে রন্ধ্রে জমা ধুলো-ময়লা, ব্ল্যাকহেড্স, হোয়াইটহেড্স সহজেই বেরিয়ে আসে। ত্বকে রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়।
৩) মাস্ক
এ বার ত্বকের ধরন অনুযায়ী মুখে মাস্ক লাগানোর পালা। গরম জলের বাষ্প ত্বকের ছিদ্র খুলে দেওয়ার পর তা ওই ভাবে রেখে দেওয়া ঠিক নয়। তাই পছন্দ অনুযায়ী বাজার থেকে যে কোনও একটি মাস্ক কিনে মুখে মাখা যেতেই পারে। না হলে বাড়িতে টোম্যাটো, বেসন এবং মধু দিয়ে মাস্ক বানিয়েও নিতে পারেন।
৪) সেরাম
ঈষদুষ্ণ জলে মাস্ক ধুয়ে ফেলার পর সাধারণত মুখে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতে হয়। তবে মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে গেলে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখার আগে সিরাম মাখা জরুরি। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ভিটামিন সি, হায়ালুরনিক অ্যাসিডযুক্ত সিরাম বেছে নিতে পারেন।
৫) ময়েশ্চারাইজ়ার
একেবারে শেষে ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে নিতে হবে। তবে যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা এই ধাপটি এড়িয়ে যেতে চান অনেক সময়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ত্বকের জন্য রয়েছে ‘অয়েল ফ্রি’ ময়েশ্চারাইজ়ার।