বাড়িতেই হবে পালং শাক। জেনে নিন নিয়মকানুন। ছবি: ফ্রিপিক।
শখের বাগানে রকমারি ফুল গাছ বসিয়েছেন। চাইলে কিন্তু টবেই শীতের মরসুমে ফলিয়ে নিতে পারেন রকমারি সব্জিও। তরকারি খান বা আটায় মিশিয়ে রুটি-পরোটা করুন, পালং শাক দিয়ে আমিষ এবং নিরামিষ—দুই পদই বেশ স্বাদু হয়।
পালং শাকও কিন্তু ফলানো যায় বাড়িতে। বারান্দা হোক বা ছাদ বাগান, বস্তা, ভাঙা প্লাস্টিকের গামলা, টব— যে কোনও জায়গাতেই দিব্যি বেড়ে উঠতে পারে গাছটি। শুধু দরকার সঠিক আলো, হাওয়া, জল, সার।
মাটি: মাটি থেকেই গাছ প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। তাই শুরুতে যদি সঠিক মাটি এবং সার মিশিয়ে নেওয়া যায়, চাষ সহজ হয়ে যায়। ৬০ ভাগ মাটির সঙ্গে ৪০ ভাগ ভার্মি কম্পোস্ট মিশিয়ে নিন।
পাত্র: টব, গামলা— যে কোনও জিনিসই বেছে নিতে পারেন। তবে জল নিষ্কাশনের জন্য নীচে গামলার নীচে একাধিক ছিদ্র থাকা দরকার।
বীজ: বীজ ছড়ানোর আগে মাটি ভাল করে জলে ভিজিয়ে নিন। আর্দ্র মাটিতেই বীজ দিতে হবে। ভাল গাছের জন্য ভাল মানের বীজও কিন্তু জরুরি। বীজ পুরো টব বা গামলা জুড়ে ছড়িয়ে দিতে হবে, যাতে গাছ গায়ে গায়ে না হয়। বীজ দেওয়ার পর উপর থেকে অল্প মাটি ছড়িয়ে দিন। দিতে হবে পরিমাণমতো জল।
চারা: ৮-১০ দিনের মাথাতেই বীজ থেকে চারা গজাবে। গাছের বেড়ে ওঠার জন্য ভেজা মাটি দরকার হলেও, জল জমা চলবে না। চারা গাছে যত্নের সঙ্গে জল দিতে হবে। চড়া রোদের বদলে ছায়া রয়েছে এমন জায়গায় চারাগুলি রাখতে হবে। গাছ একটু বেড়ে উঠলে সূর্যালোকে রাখা যাবে।
শাক: মাসখানেকের মধ্যেই কচি পালং শাক পেয়ে যাবেন। গোড়া রেখে উপরের পাতা তুলে নিলে আবার পাতা গজাবে ওই গাছ থেকেই। তবে ২০ দিন অন্তর নাইট্রোজেন-যুক্ত জৈব সার প্রয়োগ করলে গাছের বৃদ্ধি ভাল হবে। সাধারণত ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পালং গাছ বেড়ে ওঠার জন্য ভাল।