— প্রতীকী চিত্র।
ভ্যাপসা গরম এবং বর্ষার যুগলবন্দিতে কিন্তু অনুষ্ঠানের খামতি নেই। বিয়ে, বিবাহবার্ষিকী, ইলিশ উৎসব তো রয়েছেই, তার উপরে শহরে বিভিন্ন জায়গায় চলছে গানের জলসাও। যেখানেই যান না কেন, টুকটাক মেকআপ করতেই হয়। কিন্তু এমন আবহাওয়ায় অতিরিক্ত ঘাম, মুখের তেলে মেকআপ ধুয়ে, গলে একাকার হয়ে যায় কিছু ক্ষণের মধ্যেই। অনেকে আবার মেকআপ করার আগে মুখে বরফ ঘষে নেন যাতে ঘাম কম হয়। কিন্তু তাতেও যে সকলে আশানুরূপ ফল পান, তা কিন্তু নয়। বাড়ি থেকে মেকআপ করার পর গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই যদি কাজল গলে চোখে কালশিটে পড়ে যায়, কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের সঙ্গে ফাউন্ডেশন গুলে যায়, তা হলে দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। রূপচর্চা বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, বর্ষাকালেও কিন্তু নায়িকাদের মতো মেকআপ করা যায়। তবে তার জন্য কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১) চড়া চোখের মেকআপ
মেকআপ করতে ভালবাসেন যাঁরা, প্রতিনিয়ত তাঁরা নানা রকম প্রসাধনী চোখে ব্যবহার করেন। বিভিন্ন রং মিশিয়ে আইশ্যাডো পরেন। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই সময়ে চোখের উপর যত কম প্রসাধনী ব্যবহার করা যায় ততই ভাল। ‘ওয়াটার প্রুফ’ প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারলে ভাল। তবে তা-ও যে সকলের ক্ষেত্রে সমান ভাবে কাজ করে, এমন নয়।
২) ঘন ফাউন্ডেশন
খুব ঘন বা ক্রিম বেস্ড ফাউন্ডেশন এই আবহাওয়ায় ব্যবহার না করাই ভাল। বদলে জেল বা ওয়াটার বেস্ড প্রসাধনী বেছে নিতে পারেন বর্ষাকালে। না হলে মুখের উপর ফাউন্ডেশনের স্তর ঘামে গলে কেকের ক্রিমের মতো উঠে আসতেই পারে।
৩) চটচটে লিপ গ্লস
দিনের বেলা গাঢ় লিপস্টিক মাখতে পছন্দ করেন না অনেকে। আবার ‘নো মেকআপ লুক’-এ লিপস্টিকের বদলে লিপ গ্লসের ব্যবহারই বেশি। তবে ম্যাট লিপস্টিক বা লিকুইড লিপস্টিকের চেয়ে লিপ গ্লস ঘন হয়। তাই তা সহজে ঠোঁটের চারপাশে ছড়িয়ে যেতে পারে।
৪) অতিরিক্ত পাউডার
ঘাম রুখতে এবং মেকআপের বেস মুখে বসাতে একগাদা ‘বানানা পাউডার’ বা ‘সেটিং পাউডার’ মেখে ফেলতেই পারেন। কিন্তু মাথায় রাখবেন, এই পাউডার কিন্তু সাময়িক ভাবে ঘাম হওয়া আটকাতে পারে। সেই সময়টুকু অতিক্রম করলেই পাউডারের স্তর ভেদ করে ঘাম বেরিয়ে আসবে।
৫) অতিরিক্ত ব্রোঞ্জার
মেকআপের একেবারে শেষে আলাদা করে জেল্লা বা ‘গ্লো’ বাড়িয়ে তোলার জন্য মুখে ব্লাশঅন মাখার পর ব্রোঞ্জার দেওয়ার চল হয়েছে। এই ব্রোঞ্জারও কিন্তু ঘামে, মুখের তেলে মিশে মিলিয়ে যেতে পারে।