ছবি: প্রতীকী
বডি স্প্রে, পারফিউম বা কোলন কিনতে গেলে প্রাথমিক ভাবে যে বিষয়টি মাথায় আসে, তা হল ছেলেদের না মেয়েদের? তার পর নিজের পছন্দ অনুযায়ী হালকা বা খানিক চড়া গন্ধ বেছে নেন বেশির ভাগ মানুষ। কেউ ফুলেল গন্ধ পছন্দ করেন, তো কেউ চন্দনের। আবার অনেক মহিলাই কিন্তু পুরুষালি ‘স্ট্রং’ গন্ধ মাখতে ভালবাসেন। তবে শৌখিনীরা বলছেন, ঋতুর সঙ্গে গন্ধের গভীর যোগ রয়েছে। শুধু ঘামের গন্ধ ঢাকতে নয়, এই গন্ধ দিয়েই ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে। আবার, ঋতুকালীন মন খারাপ বা অবসাদ নিয়ন্ত্রণ করতেও কিন্তু সুগন্ধির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তবে তার জন্য সঠিক সুগন্ধ চেনা এবং গন্ধের সঙ্গে মনের যোগাযোগের সূত্রটি খোঁজা জরুরি।
১) গন্ধ চিনবেন কী করে?
দোকানে গিয়ে ‘টেস্টার’ থেকে গন্ধ শুঁকে একটা নিয়ে ফেললেই কিন্তু গন্ধ চেনা যায় না। বিভিন্ন ঋতুতে মনের উপর গন্ধ নানা ভাবে প্রভাব বিস্তার করে। কারও মন খারাপ থাকলে ফুলেল গন্ধ, কারও ক্ষেত্রে সাইট্রাসের সতেজতা, আবার কেউ বৃষ্টিতে না ভিজেও সেই ভেজা, স্যাঁতসেঁতে গন্ধের অনুভূতি নিতে চান সুগন্ধির মাধ্যমে। তাই কোন গন্ধে আপনার মন ভাল হয়, সে বিষয়ে খুব ভাল করে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
২) ঋতুর সঙ্গে গন্ধের যোগ কোথায়?
সুগন্ধি কেনার আগে ঋতুর সঙ্গে তার যোগ কোথায়, তা জেনে নেওয়া জরুরি। গরমকালে তীব্র গরম বা ঘামের গন্ধের মাঝে যে ধরনের গন্ধ সতেজতা আনতে পারে, শীতকালে কিন্তু সেই একই রকম গন্ধ ভাল না-ও লাগতে পারে। আবার বসন্তের ফুরফুরে বাতাস, উড়ুউড়ু মনের জন্য আলাদা ধরনের গন্ধ বেছে রাখতে হবে।
৩) সুগন্ধি মেশানোর ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে
বর্ষার কালো মেঘ দেখে কারও মন খারাপ হয়। আবার বৃষ্টিতে সারা পা কর্দমাক্ত হলেও অনেকের কাছে বর্ষা প্রিয় ঋতু। তাই মন বুঝে সুগন্ধি মাখবেন। সকালে যদি মন ভাল থাকে, তেমন একটি সুগন্ধি মেখে বেরিয়ে পড়তেই পারেন। কিন্তু দিনের শেষে যদি কোনও কারণে মন খারাপ হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে সকালে ব্যবহার করা সুগন্ধি কিন্তু কোনও কাজ করবে না। আবার, দু’টি গন্ধ একসঙ্গে ব্যবহার করলেই যে খুব ভাল ফল পাবেন, এমনটাও নয়। তাই এ বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে।