দিনে কত বার ফেসওয়াশ মাখেন? ছবি: সংগৃহীত।
ত্বক ভাল রাখতে রোজ সালোঁয় যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। সাধারণ কিছু পরিচর্যা বাড়িতেই করা যায়। বাইরে না বেরোলেও নিয়ম করে দু’-তিন বার ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং বা ‘সিটিএম’ করেন অনেকেই। বাইরে বেরোলে ত্বকে ধুলো-ময়লা জমে। তার উপর মুখের নিজস্ব তেল বা সেবাম তো আছেই। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁদের এই সমস্যা বেশি। ত্বক যেমনই হোক, তা পরিষ্কার রাখতে পারলে চট করে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তা ভেবে প্রস্রাব ত্যাগ করার মতো অনেকেই বার বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে ছোটেন। তাতে আবার উপকারের বদলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। কারণ, ফেসওয়াশের মধ্যে যে রাসায়নিক উপাদানগুলি রয়েছে, তা ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।
অনেকে আবার মনে করেন, বাইরে না বেরোলে মুখে ফেসওয়াশ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ, বাড়ির মধ্যে তো রাস্তাঘাটের মতো ধুলো-ময়লা থাকে না। তবে অভিজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারলে ক্ষতি কিছু নেই। ঘুমোনোর সময়ে ত্বকের গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত তেল-সেবাম জমে থাকে মুখে। সকালে উঠে শুধু জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললে কিন্তু সেই তেল সহজে পরিষ্কার হয় না। তা ছাড়া, বাইরে বেরোনোর আগে অনেকেই মুখে মেকআপ করেন। মেকআপ ভাল হওয়ার জন্যও মুখ পরিষ্কার হওয়া জরুরি। অন্য দিকে, ত্বক ভাল রাখতে কাজ থেকে বাড়ি ফিরে কিংবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুখ থেকে মেকআপ, ধুলো-বালির পরত পরিষ্কার করাও জরুরি।
তবে, কে কত বার মুখে ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন, তা নির্ভর করবে ওই ব্যক্তির ত্বকের ধরনের উপর। যেমন— কারও ত্বক তৈলাক্ত হলে দিনে তিন থেকে চার বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়াই যায়। যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁরা দু’বারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারেন। স্পর্শকাতর ত্বকের অধিকারী যাঁরা, তাঁরাও ঘন ঘন ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না।