পেটে গরম জলের সেঁক দিয়ে ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা থেকে আরাম পাওয়া সম্ভব? ছবি: সংগৃহীত।
একটা বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসের নির্দিষ্ট কয়েকটা দিন মেয়েদের ঋতুস্রাব হয়। ঋতুস্রাবের দিনগুলিতে শারীরিক অস্বস্তি যেন পিছু ছাড়তেই চায় না! কখনও অত্যধিক রক্তপাত, কখনও বেজায় পেটে ব্যথা। তখন আবার পেটে গরম জলের সেঁক দিয়ে আরাম পাওয়া ছাড়া উপায় নেই। শরীরের পাশাপাশি, ক্লান্ত-বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে মনও। অফিস, কলেজ কিংবা স্কুল, কোথাও যেতে একেবারেই মন চায় না। কেউ প্রথম দিনে বেশি কষ্ট পান, কারও আবার দ্বিতীয় দিনে যন্ত্রণা বেশি হয়। সেই ক’দিন ঘন ঘন মেজাজ হারাতে থাকেন মহিলারা। সব মিলিয়ে বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। তবে এই সময়ে কিছু কাজ করলে অস্বস্তি, যন্ত্রণা আরও বেড়ে যেতে পারে।
১) জল কম খাচ্ছেন কি?
ঋতুস্রাব চলাকালীন প্রস্রাব করতেও কষ্ট হয়। সেই ভয়ে অনেকেই জল কম খান। তবে, চিকিৎসকেরা বলছেন, বার বার প্রস্রাব না করলেই যে কষ্ট কম হবে, এমনটা কিন্তু নয়। বরং শরীরে জলের অভাব হলে ঋতুচক্রে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। পেটে যন্ত্রণা, পেটফাঁপা, পেশিতে টান ধরার মতো সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করতে পারে জল।
২) ওয়্যাক্সিং করানোর অভ্যাস রয়েছে?
হঠাৎ গায়ের অবাঞ্ছিত রোম তোলার প্রয়োজন পড়তেই পারে। কিন্তু চিকিৎসকেরা সাবধান করে বলছেন, ঋতুস্রাব চলাকালীন ওয়্যাক্স করালে ব্যথা, স্পর্শকাতরতা আরও বেড়ে যেতে পারে। হরমোনের হের ফেরে ত্বকেরও নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণ পরিস্থিতিতে, গায়ের জোরে টেনে রোম তুলতে যতটা কষ্ট হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি যন্ত্রণা হয় মাসের এই কয়েকটা দিন। তাই একান্ত প্রয়োজন না হলে এই সময়ে ওয়াক্সিং না করানোই ভাল।
৩) অতিরিক্ত চিনি দেওয়া পানীয়, কফি খাচ্ছেন না তো?
ঋতুস্রাব চলাকালীন গরম পানীয় খেলে আরাম লাগে, তাই বারে বারে কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। মন-মেজাজ ভাল রাখতে অনেকে আবার অতিরিক্ত চিনি দেওয়া পানীয় খেয়ে থাকেন। এই সবই ঋতুচক্রের জন্য খারাপ। এই ধরনের পানীয় বেশি খেলে হরমোনের হেরফের হওয়া স্বাভাবিক। যার ফলে ঋতুস্রাবজনিত কষ্ট আরও বেড়ে যায়।