মুখে দুর্গন্ধ, দাঁতে ব্যথা থেকে খুশকি— সবই নিরাময় করতে পারে লবঙ্গ। ছবি: সংগৃহীত।
খুশকির সমস্যায় জেরবার অবস্থা। খুশকি তাড়াতে ‘অ্যান্টি ড্যানড্রফ’ শ্যাম্পু ব্যবহার করেন। কিন্তু এই ধরনের শ্যাম্পু নিয়মিত ব্যবহার করা যায় না। করলে চুল অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। অনেকেই ঘরোয়া টোটকা হিসাবে খুশকি তাড়াতে সোহাগার খই ব্যবহার করেন। তবে তার চেয়েও সহজ উপায় রয়েছে হেঁশেলের তাকে।
মুখের দুর্গন্ধ, দাঁতের যন্ত্রণা ঠেকাতে রাতবিরেতে খোঁজ পড়ে লবঙ্গের। অনেকেই হয়তো জানেন না, লবঙ্গ কিন্তু খুশকি দূর করতেও দারুণ কাজ করে। লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। যা মাথার ত্বকের পিএইচের সমতা রক্ষা করে। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে এই মশলা। লবঙ্গ দিয়ে যদি মাথায় মাখার তেল বানিয়ে ফেলা যায়, তা হলে আরও ভাল।
মাথায় লবঙ্গ মেশানো তেল মাখলে কী উপকার হয়?
লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই সমস্ত উপাদান চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায়। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল রাখতে সাহায্য করে এই লবঙ্গ মেশানো তেল। মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এই তেল বেশ কাজের। লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। যা মাথার ত্বকে সংক্রমণজানিত সমস্যা রোধ করতেও সাহায্য করে।
বাড়িতে এই তেল কী ভাবে তৈরি করবেন? কখন মাখবেন?
প্রথমে বেশ কয়েকটি লবঙ্গ মিক্সিতে গুঁড়ো করে রাখুন। এ বার কড়াইয়ে নারকেল তেল গরম হতে দিন। আঁচ একেবারে কমিয়ে রাখবেন। তেল গরম হলে তার মধ্যে গুঁড়ো করে রাখা লবঙ্গ দিয়ে দিন। ভাল করে ফুটিয়ে নিন। তেলের রং গাঢ় হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। ওই অবস্থায় রেখে দিন বেশ খানিক ক্ষণ। ঠান্ডা হলে কাচের শিশিতে ঢেলে রাখুন। মাথার ত্বকে মাখার আগে হালকা গরম করে নিলেই হবে। এই তেল মেখে রাতে ঘুমোনোর প্রয়োজন নেই। স্নান করার আধঘণ্টা আগে খুব অল্প পরিমাণ তেল মেখে শ্যাম্পু করে নিলেই হবে। তবে যাঁদের ত্বক স্পর্শকাতর, তাঁরা মাথায় এই তেল মাখতে যাবেন না। ত্বকের অস্বস্তি বাড়তে পারে।