ছবি: সংগৃহীত।
বিপাকহার ভাল না হলে শারীরবৃত্তীয় অনেক কাজই থমকে যেতে পারে। বিপাকক্রিয়া ভাল হলে মেদ ঝরানোর কাজেও গতি আসে। তাই দিন শুরু করেন ডিটক্স পানীয় খেয়ে। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে পরিশ্রমের কোনও খামতি রাখেন না। জিমে যাওয়া থেকে ডায়েট, সব করা হয় নিয়ম মেনেই।
তবে, অনেকেই হয়তো জানেন না, ওজন ঝরানোর আরও একটি পন্থা হতে পারে লঙ্কা খাওয়া। লঙ্কায় রয়েছে এমন একটি উপাদান, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই উপাদান হজমক্ষমতা উন্নত করতেও সক্ষম। হজম ঠিকঠাক হলে ওজনও বাড়তে পারে না। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে লঙ্কার উপর ভরসা রাখতে পারেন।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, লঙ্কার মধ্যে রয়েছে ‘ক্যাপসাইসিন’, যা দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সেই কারণে ঝাল খেলে অনেকে দরদর করে ঘামেন। দেহের তাপমাত্রার সঙ্গে বিপাকহারের সম্পর্ক রয়েছে। লঙ্কার মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ থাকার কারণে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতেও সাহায্য করে লঙ্কা। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষণায় সে প্রমাণ মিলেছে।
বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে লঙ্কা কী ভাবে সাহায্য করে?
১. ঝাল খেলে অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। লঙ্কার মধ্যে রয়েছে ‘ক্যাপসাইসিন’ নামক একটি উপাদান। যা বিপাকক্রিয়া ভাল রাখতে সাহায্য করে।
২. রক্তে শর্করা এবং ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে ঝাল খাবার। যার ফলে টাইপ ২ ডায়াবিটিস, স্থূলত্বের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
৩. পর্যাপ্ত ক্যালোরির অভাব হলে শরীরে জমা ফ্যাটই শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে ‘লাইপোলাইসিস’ বলা হয়। সেই কাজেও সাহায্য করে লঙ্কার মধ্যে থাকা ‘ক্যাপসাইসিন’।