নতুন আইনের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের বর্তমান বয়স থেকে কয়েক বছর কমে যেতে চলেছে। ছবি: সংগৃহীত
দেশের নাগরিকদের বয়সের হিসাব করতে নতুন বিল অনুমোদন করল দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। এই নতুন আইনের মাধ্যমে সে দেশের নাগরিকদের বর্তমান বয়স থেকে কয়েক বছর কমে যেতে চলেছে।
বয়স উল্টো পথে হাঁটবে শুনে অনেকেই বিস্মিত হতে পারেন। সে কারণে জানতে হবে, দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের বয়সের হিসাব কী ভাবে করা হয়। সারা পৃথিবীতে যে ভাবে বয়সের গণনা করা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ায় সে পদ্ধতি মানা হয় না। এ দেশে জন্মের সময়ে কারও বয়স শূন্য বা এক দিন বলে ধরা হয় না। জন্মের সময়ে শিশুর বয়স ৯-১০ মাস হিসাবে ধরা হয়। অর্থাৎ, এ দেশে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সময় থেকে শিশুর বয়সের হিসাব শুরু হয়ে যায়। গর্ভধারণের যত মাস পরে সন্তান প্রসব হয়, ওই সময়টি সদ্যোজাতের বয়স হিসাবে ধরা হয়।
তবে এ বার বয়স গণনার এই পদ্ধতিতে একটা বড়সড় বদল আসতে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। সরকারের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, সারা পৃথিবীতে যে ভাবে বয়স গণনা করা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদেরও এ বার সে ভাবেই বয়স নির্ণয় করা হবে। এই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটিতে থাকা ১০ জন সদস্যের মধ্যে আট জনই এক দিকে ভোট দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, পৃথিবীতে যে ভাবে বয়সের গণনা করা হয়, সেই পদ্ধতিতেই করা হোক।
এর ফলে যেটা হতে চলেছে, ২০২৩ সালের শুরু থেকেই গোটা বিশ্বের পদ্ধতি মেনে বয়সের গণনা শুরু হয়ে যাবে। যার ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের বয়স এক-দু’বছর করে কমে যেতে চলেছে। সে দেশের নাগরিকরাও এ আইনের পক্ষেই মত দিয়েছেন। নয়তো বয়স গণনার দিক থেকে অন্য দেশগুলির সঙ্গে হিসাব মেলানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছিল।