Indonesia

প্রেমিকাকে নিয়ে বালি ভ্রমণের পরিকল্পনা? সেখানকার নয়া আইনের কারণে বিপাকে পড়বেন না তো?

ইন্দোনেশিয়ায় বিয়ের আগে সঙ্গম দণ্ডনীয় অপরাধ। নয়া আইন এমনটাই বলছে! তবে এই আইন কি পর্যটকদের উপরও বলবত হবে? প্রশ্ন নানা মহলে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:০৭
জাতিসঙ্ঘের মতে, এই নতুন আইন ইন্দোনেশিয়ার মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ করতে পারে।

জাতিসঙ্ঘের মতে, এই নতুন আইন ইন্দোনেশিয়ার মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ করতে পারে। ছবি: শাটারস্টক

ইন্দোনেশিয়ার আইনসভায় পাশ হওয়া নতুন আইন অনুযায়ী, বিয়ের আগে সঙ্গম দণ্ডনীয় অপরাধ। স্বামী কিংবা স্ত্রী ছাড়া আর কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বৈধ নয়। বিয়ের বাইরে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হলে যেতে হতে পারে জেলে। বিবাহ-বহির্ভূত সঙ্গম প্রমাণিত হলে এক বছরের কারাবাস হতে পারে। এই আইন পাশ হওয়ার পরই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এই নয়া আইন চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন শিল্পের ব্যবসায়ীদের কপালে। নানা দেশ থেকে অনেক অবিবাহিত যুগলের ছুটি কাটানোর ঠিকানা হয় বালি। তাই এই নয়া নিয়ম তাঁদের ব্যবসায় ক্ষতি করবে বলে মনে করেছিলেন পর্যটন ব্যাবসায়ীরা।

তবে বালির গভর্নর সদ্য ঘোষণা করেছেন যে এই নয়া আইন কেবল ওখানকার বাসিন্দাদের উপরেই বলবত হবে। পর্যটকরা বিবাহিত না কি অবিবাহিত, সে বিষয়ে প্রশাসন মাথা ঘামাবে না। গভর্নরের কথা শুনে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন ব্যবসায়ীরা।

Advertisement
এই আইনটি ব্যক্তিস্বাধীনতার উপর বড় আঘাত, এমনটাই মনে করছে জাতিসঙ্ঘ।

এই আইনটি ব্যক্তিস্বাধীনতার উপর বড় আঘাত, এমনটাই মনে করছে জাতিসঙ্ঘ। ছবি: শাটারস্টক।

জাতিসঙ্ঘের মতে, এই নতুন আইন সে দেশের মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ করতে পারে। এই আইনটি ব্যক্তিস্বাধীনতার উপর বড় আঘাত, এমনটাই মনে করছে জাতিসঙ্ঘ। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা মনে করছেন যে, এই আইনটি দেশের মূল্যবোধকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। বালির গভর্নর ওয়ান কস্টার বলেন, ‘‘বালি বালির মতোই আছে। পর্যটকদের জন্য এই স্থান যথেষ্ট নিরাপদ। পর্যটকদের হোটেল ভাড়া নেওয়ার সময়েও বিবাহের প্রমাণপত্র দেখানোর কোনও প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে পুলিশ তাঁদের বিব্রতও করবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement