গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
অভিযানে গিয়ে অভিযুক্তদের হাতে বন্দি হলেন এক মহিলা পুলিশ আধিকারিক। ওই আধিকারিক এবং তিন পুলিশকর্মীকে টানাহ্যাঁচড়া করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় একটি ঘরে। তার পর দরজায় তালা দিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শেষমেশ মহিলা ইনস্পেক্টর এবং পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করতে যায় পুলিশ বাহিনী। সোমবার এই ঘটনায় শোরগোল ওড়িশার বালেশ্বর জেলার একটি থানায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে তালসারি থানার ইন্সপেক্টর চম্পাবতী সোরেন তিন পুলিশকর্মীকে নিয়ে এলাকা টহল দিতে বেরিয়েছিলেন। উদয়পুরে একটি বাড়িতে বড়সড় জুয়ার আসর বসেছে বলে খবর পান তাঁরা। ইন্সপেক্টর পুলিশকর্মীদের নিয়ে সেখানে হানা দেন। হাতেনাতে জুয়াড়িদের ধরেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশকে দেখেই ওই জুয়াড়িরা চিৎকার চেঁচামেচি করে আরও লোক জড়ো করেন। এর পর পুলিশকে ঘিরে ধরে হেনস্থা শুরু করেন তাঁরা।
অভিযোগ, কর্তব্যরত ওই মহিলা ইন্সপেক্টরের গায়ে হাত তোলা হয়। তাঁকে ঠেলে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই দশা হয় তিন পুলিশকর্মীরও। বেশ খানিক ক্ষণ পর খবর যায় থানায়। তার পর চন্দনেশ্বর আউটপোস্ট এবং ভোগরাই থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। কার্যত যুদ্ধ করে উদ্ধার করে আনতে হয় ওই ইন্সপেক্টর এবং পুলিশকর্মীদের।
ওই ঘটনা প্রসঙ্গে জলেশ্বরের এসডিপিও দিলীপ সাউ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এক ইন্সপেক্টর এবং পুলিশকর্মীদের হেনস্থা করেছেন কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁরা কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে আটকে রাখেন। এই গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। আইন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ওই ঘটনায় ২০ জনের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছে। আরও কেউ জড়িত কি না, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।