জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। —নিজস্ব চিত্র।
বাবার বিধানসভা এলাকা। বর্তমানে রেশন মামলায় তিনি জেলে। সদ্য গিয়েছে মন্ত্রিত্ব। মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব হিসাবে বাবা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিধানসভা এলাকার স্কুলগুলিতে পরিদর্শনে গেলেন সোমবার। ইংরেজি পরীক্ষা কেমন চলছে, পরীক্ষাকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ঘুরে দেখলেন তিনি। প্রিয়দর্শিনী জানান, হাবড়া তাঁর কাছে আবেগের জায়গা। সেই আবেগ তো রয়েইছে। তবে বাবার বিধানসভা এলাকার স্কুলে এসেছেন নিজের দায়িত্ব পালন করতে। একটি স্কুল থেকে বেরিয়ে জ্যোতিপ্রিয় ওরফে বালুর জামিনের বিষয়েও মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার হাবড়া কামিনীকুমার কাম কুমার গার্লস হাই স্কুল, হাবড়া মডেল স্কুল পরিদর্শনে যান প্রিয়দর্শিনী। পরে সংবাদমাধ্যমকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব বলেন, ‘‘পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার্থীদের অনুপাত দেখেলাম। সিসি ক্যামেরার বন্দোবস্ত রয়েছে কি না, পরীক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধার ব্যাপারে বেশ কয়েকটি স্কুল পরিদর্শন করলাম।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমি আমার ডিউটি করতে এসেছি। এর চেয়ে বেশি আর কী বলব! তবে হাবড়া আবেগের জায়গা।’’ বাবার জামিনের বিষয়ে কিছু বলবেন? জবাবে প্রিয়দর্শিনী বলেন, ‘‘সাব জুডিস (বিচারাধীন) ব্যাপার তো। কিছু বলব না।’’
২০২৩ সালের অগস্ট মাসে আশুতোষ কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রিয়দর্শিনীকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব পদে নিয়োগ করা হয়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁর নিয়োগে অনুমোদন দেন।
অন্য দিকে, ২০২১ সালের রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে তৎকালীন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে বিজেপি। অভিযোগ ওঠে, রাজ্যে রেশনে প্রতি বছর প্রায় এক হাজার কোটি টাকা করে দুর্নীতি হয়েছে। ওই রেশন মামলাতেই ইডির হাতে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয়। তার পর থেকে শিরোনামে উঠে আসেন প্রিয়দর্শিনীও। ইডি তাদের তদন্তে দাবি করে, যে সব ভুয়ো সংস্থায় লেনদেন হয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটির ডিরেক্টর হিসাবে নাম ছিল প্রিয়দর্শিনীর। যদিও তল্লাশি চালানোর সময় ওই বিষয়ে কিছু জানেন না বলেই উল্লেখ করেন বালু-কন্যা।