Cyclone Dana in Odisha

‘ডেনা’র দাপট কমলেও আশঙ্কা কমেনি, ওড়িশার তিন জেলায় শুক্রবারে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি

‘ডেনা’র জেরে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কেন্দ্রাপাড়া জেলার রাজকণিকায়। সেখানে ১৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় ১০০ মিমির বেশি বৃষ্টি হয়েছে এই সময়ে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৪:০২
ভারী বৃষ্টি চলছে ওড়িশার বেশ কয়েকটি জেলায়। ছবি: পিটিআই।

ভারী বৃষ্টি চলছে ওড়িশার বেশ কয়েকটি জেলায়। ছবি: পিটিআই।

ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র দাপট অনেকটাই কমেছে। কিন্তু এখনও আশঙ্কা কমেনি ওড়িশায়। রাজ্যের উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভুবনেশ্বরে মৌসম ভবনের আঞ্চলিক হাওয়া অফিসের অধিকর্তা মনোরমা মোহান্তি জানিয়েছেন, শুক্রবার রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির দাপট চলবে। ইতিমধ্যেই সেই জেলাগুলিকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

রাজ্যের তিন জেলায় শুক্রবার বৃষ্টির চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ভদ্রক, বালেশ্বর এবং ময়ূরভঞ্জ। এ ছাড়াও বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে কটক কেন্দ্রাপাড়া, ঢেঙ্কানল, জাজপুর এবং কেওনঝড়ে। ভারী বৃষ্টি হবে জগৎসিংহপুর, খুরদা, আঙ্গুল, নয়াগড় এবং পুরীতে।

মোহান্তি জানিয়েছেন, ‘ডেনা’র জেরে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কেন্দ্রাপাড়া জেলার রাজকণিকায়। সেখানে ১৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে এই সময়ের মধ্যে। রাজকণিকা ছাড়াও কেন্দ্রাপাড়ার মার্শাঘাই, দেরাবিস এবং রাজনগরে যথাক্রমে ১১০, ১২০ এবং ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

একই ভাবে, বালেশ্বরের উপড়ায় ১০৯ মিলিমিটার, ভদ্রকের বাসুবেবপুরে ১১০, খুরদার বালিয়ান্তায় ৯২ মিলমিটার বৃষ্টি হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। ‘ডেনা’ শক্তি হারিয়েছে। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার পর সেটি ক্রমশ পশ্চিম দিকে সরে যাবে। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটও থাকবে। কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগ থাকবে। বিশেষ করে বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝড়, ভদ্রক, জগৎসিংহপুর, কটক, কেন্দ্রাপাড়া, ঢেঙ্কানল, সুন্দরগড় এবং খুরদায় ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে সন্ধ্যা পর্যন্ত। তার পর ধীরে ধীরে তা কমবে। সমুদ্র উত্তাল থাকবে শুক্রবারও।

তবে ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র কারণে ওড়িশায় কারও প্রাণহানি হয়নি। শুক্রবার সকালে দুর্যোগ-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এমনটাই জানান সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। সকাল সাড়ে ৭টায় ঘূর্ণিঝড়টির স্থলভাগে প্রবেশের প্রক্রিয়া (ল্যান্ডফল) শেষ হয়। ‘ল্যান্ডফলের’ এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রশাসনিক নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কারণে কারও মৃত্যু হয়নি। সরকারের লক্ষ্য ছিল, আমরা কাউকে মারা যেত দেব না। আমরা কথা রাখতে পেরেছি।”

আরও পড়ুন
Advertisement