Uttarakhand

মিলল আরও ৫ দেহ, উত্তরাখণ্ডের হড়পা বানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩, এখনও নিখোঁজ ১৬০

উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ভেঙে যাওয়ার পর হড়পা বানে প্লাবিত হয় এলাকা। অলকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গা নদীতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১০:১৮
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি ছবি: পিটিআই

উত্তরাখণ্ডে হিমাবাহ ভেঙে তৈরি হওয়া হ়ড়পা বানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৩। রবিবার সকালে উদ্ধারকারীরা তপোবনের সুড়ঙ্গ থেকে আরও ৫টি দেহ উদ্ধার করেছেন। আশঙ্কা, এখনও সুড়ঙ্গের ভিতর বেশ কয়েকজন আটকে থাকতে পারেন। তাঁদের সন্ধান পেতে উদ্ধারকাজে গতি আনছে প্রশাসন। ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৬০ জন।

শনিবার থেকেই তপোবন-বিষ্ণুগড় সুড়ঙ্গের মধ্যে আরও বড় পথ তৈরি করে উদ্ধারকাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। আশঙ্কা ছিল ভিতরে আটকে রয়েছেন ৩০ জনের মতো। রবিবার সেই প্রক্রিয়া আংশিক শেষ হওয়ার পর রবিবার সকাল পর্যন্ত নতুন করে ৫জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

Advertisement

উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ভেঙে যাওয়ার পর হড়পা বানে প্লাবিত হয় এলাকা। অলকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গা নদীতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। বেশ কয়েকটি সেতু ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি দু’টি বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার মধ্যে একটি তপোবন-বিষ্ণুগড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এনটিপিসির এই প্রকল্পটির জেনারেল ম্যানেজার আরপি আগরওয়াল বলেছেন, ‘‘তিনটি ভিন্ন পদ্ধতিতে টানেলে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করার কাজ চলছে। শুক্রবার একটি বড় গর্ত তৈরি করা হয়েছে, যেখান দিয়ে একটি পাইপ ও ক্যামেরা সুড়ঙ্গের ভিতর যেতে পারে। ক্যামেরার সাহায্যে দেখা হচ্ছে ভিতরে কেউ আটকে পড়েছেন কি না।’’

চামোলির জেলাশাসক স্বাতী ভাদোরিয়া বলেন, ‘‘উদ্ধারকাজ আরও জোরদার করা হচ্ছে। দেহ উদ্ধারের পর এলাকায় বাকি নিখোঁজদের সন্ধানে জোরদার তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’’

সরকারি হিসাব অনুসারে, এখনও এলাকায় ১৬০ জন নিখোঁজ। মনে করা হচ্ছে তপোবন সুড়ঙ্গের মধ্যে রবিবারের পরেও ২০ থেকে ৩০ জন আটকে থাকতে পারেন। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। তবে সময় যত এগোচ্ছে, ততই তাঁদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement