শনিবার কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের সঙ্গে গাজিপুরে তারা গাঁধী ভট্টাচার্য। ছবি: পিটিআই।
কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে এ বার এগিয়ে এলেন মহাত্মা গাঁধীর নাতনি তারা গাঁধী ভট্টাচার্য। শনিবার দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানা গাজিপুরে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। শুধু দেখা করাই নয়, ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের (বিকেইউ) নেতা রাকেশ টিকায়েতকে পাশে নিয়ে আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন জানান তিনি। জানিয়ে দেন, কৃষকদের কল্যাণের উপরই দেশের কল্যাণ টিকে রয়েছে।
ন্যাশনাল গাঁধী মিউজিয়ামের চেয়ারপার্সন তারা আন্দোলনকারী কৃষকদের উদ্দেশে বক্তৃতাও করেন। তিনি বলেন, ‘‘কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ হয়ে এখানে আসিনি। সারা জীবন যাঁরা আমাদের মুখে অন্ন জুগিয়েছেন, সেই কৃষকদের জন্য এসেছি। আমার একটাই দাবি, যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, তা যেন কৃষকদের স্বার্থ বিরোধী না হয়। কৃষকরা কী পরিমাণ পরিশ্রম করেন, তা কারও অজানা নয়। মনে রাখতে হবে, কৃষকদের কল্যাণের উপরই দেশের কল্যাণ এবং আমাদের সকলের কল্যাণ নির্ভর করছে।’’
১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের প্রসঙ্গ টেনে তারা জানান, সে বারও উত্তরপ্রদেশ থেকেই লড়াই শুরু হয়েছিল। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, কৃষকদের শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘যে কারণে আপনারা আন্দোলনে নেমেছেন, তার মধ্যে বিরাট সত্যতা রয়েছে। এই সততাই আপনাদের অভাব, অভিযোগ তুলে ধরার পক্ষে যথেষ্ট। আমি চিরকাল সত্যের পাশে থেকেছি, আগামী দিনেও থাকব।’’
কেন্দ্রীয় সরকারের ৩টি বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রায় ৩ মাস ধরে দিল্লির উপকণ্ঠে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। কিন্তু আইন সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাহারে এখনও পর্যন্ত সম্মত হয়নি কেন্দ্র। আবার আইন সাময়িক স্থগিত রাখার যে প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র, তাতে সম্মত নন কৃষকরাও। ফলে এখনও পর্যন্ত অচলাবস্থা কাটার কোনও লক্ষণ নেই।