কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
প্রায় বিরোধীশূন্য সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কোনও আলোচনা ছাড়াই ধ্বনিভোটে নরেন্দ্র মোদী সরকার পাশ করিয়ে নিয়েছে দেশের আইনশৃঙ্খলার খোলনলচে বদলে দেওয়ার তিনটি বিল। এ বার সেই তিন আইন— ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ন দ্রুত কার্যকরের বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
শাহ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘এই তিন আইন কার্যকর হলে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক ফৌজদারি আইন হবে ভারতেরই। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার খোলনলচে বদলে যাবে।’’ গুজরাটের গান্ধীনগরে ‘ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটি’র অপরাধ আইন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্রে শাহের দাবি, ‘‘নতুন তিন আইনের মাধ্যমে ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা একটি নতুন যুগে প্রবেশ করছে।’’
গত ১১ অগস্ট সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করে জানিয়েছিলেন, ১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ দিয়ে। ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ (ফৌজদারি দণ্ডবিধি) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ দ্বারা এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন) প্রতিস্থাপিত হবে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য বিল’-এ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তিন নতুন আইনের খসড়া তৈরির পরেই তীব্র আপত্তি তুলেছিল বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ ছিল, খোলনলচে বদলে ব্রিটিশ জমানার রাষ্ট্রদ্রোহ আইন আরও কঠোর করতে সক্রিয় হয়েছে মোদী সরকার। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাড়াহুড়ো করে বিল পাশের চেষ্টার বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই শীতকালীন অধিবেশনে পাশ করানো হয়েছিল দণ্ড সংহিত সংক্রান্ত তিনটি বিল।