বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে রামমন্দির দেখতে যাবেন শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
রামমন্দিরে রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে সোমবার। তারপর দেশের গেরুয়া রাজনীতির কুশীলবরা একে একে অযোধ্যা গিয়ে রামমন্দির ও রামলালার মূর্তি দর্শনের পরিকল্পনা করছেন। পিছিয়ে নেই এ রাজ্যের নেতারাও। সব ঠিকঠাক চললে, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি একদিনের সফরে অযোধ্যা যাবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সফরে তাঁর সঙ্গী হবেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিজেপি বিধায়কেরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্দির উদ্বোধনের দিন দলীয় নেতাদের নিজ নিজ রাজ্যে থেকেই রামমন্দিরের সূচনাপর্ব উদ্যাপন করতে বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মেনে বিরোধী দলনেতা মঙ্গলবার তাঁর কর্মসূচি সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন কলকাতা ও হাওড়া জেলার মধ্যেই। কিন্তু আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বিমানে চেপে তিনি তাঁর সতীর্থদের নিয়ে রামমন্দিরে রামলালার দর্শনে যাবেন। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। তাই সেই অধিবেশনে যোগ দিতে কলকাতায় আসবেন বিজেপি বিধায়করা। ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার। ওই দিন অধিবেশনের ছুটি থাকবে। বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, শনিবার দিনটিতে অধিবেশনের কাজ থাকবে না জেনেই বিরোধী দলনেতা রামমন্দির দেখতে যাওয়ার কর্মসূচি পরিকল্পনা করেছেন।
তবে এক দিনেই কলকাতা ফিরে আসবেন বিজেপি বিধায়করা। কারণ শনিবার অযোধ্যা রামমন্দির দেখে এসে সোমবার আবারও বাজেট অধিবেশনে যোগ দেবেন তাঁরা। তবে বাংলার রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, রামমন্দির রাজনীতিতে বাংলাতেও প্রবেশ করাতে চায় বিজেপি। তাই দলীয় নেতাদের এ বার একে একে অযোধ্যায় গিয়ে রামমন্দিরের দর্শন করিয়ে সেই উত্তাপ বাংলায় ছড়িয়ে দেওয়ার কৌশল নিতে পারে গেরুয়া শিবির। তবে এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘রামমন্দির আসলে হিন্দুদের আবেগ। ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে লড়াই করার পর সেই দিন এসেছে, তাই এমন একটি পবিত্র মন্দির দেখতে যাওয়াকে কখনওই রাজনীতির সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া উচিত নয়। আর বিধায়কেরা অধিবেশনের ছুটিতে অযোধ্যায় রামমন্দির দেখে এসে আবারও কাজে যোগদান করবেন। তাই এতে রাজনীতি খোঁজা অনর্থক।’’