Asansol

তরোয়াল হাতে রক্তাক্ত লড়াইয়ে দুই প্রতিবেশী! দুই বাড়ির ‘সীমান্তে’ জমি নিয়ে যুদ্ধ আসানসোলে

দীর্ঘ দিন ধরে দুই পরিবারের মধ্যে একটি জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। রবিবার ওই জমি নিয়ে তরজায় জড়ায় দুই পক্ষ। প্রথমে বাগ্‌বিতণ্ডা, তার পর শুরু হয় হাতাহাতি। মারামারিতে তিন জন জখম হয়েছেন। আটক দুই।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কুলটি শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:১১
Fight

তরোয়াল নিয়ে যুদ্ধ প্রতিবেশীদের! —নিজস্ব চিত্র।

জমি নিয়ে দুই প্রতিবেশী পরিবারের মধ্যে বিবাদ। কিছু ক্ষণ কথা কাটাকাটির পর তাঁরা শুরু করেন মারামারি। এমনকি, তরোয়াল বার করে নিয়ে আসেন দুই বাড়ির লোকজন। তার পর রাস্তার উপরই চলল ‘যুদ্ধ’। ঝরল রক্ত। উঠল গুলি ছোড়ারও অভিযোগ। রবিবার দুপুরে ওই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের কুলটি থানার মনোবেড়িয়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘যুদ্ধে’ জখম হয়েছেন দুই পক্ষের অন্তত তিন জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, মনোবেড়িয়া এলাকায় দুই পরিবারের মধ্যে একটি জমি নিয়ে বিবাদ দীর্ঘ দিনের। রবিবার ওই জমি নিয়ে আবার এক বার তরজা চলে দুই পক্ষের। প্রথমে বাগ্‌বিতণ্ডা, তার পর শুরু হয় হাতাহাতি। পরে চলে তরোয়াল উঁচিয়ে একে অপরকে আক্রমণ। ওই বিবাদের মধ্যে পড়েন দুই পরিবারের মহিলারা। অশান্তি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, রাস্তার দুই দিকে পথচলতি লোকজন থমকে যান। প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে দাপাদাপি করতে দেখে চমকে যান অনেকে। অন্য দিকে, বিবাদমান এক পক্ষের অভিযোগ, অন্য বাড়ি থেকে গুলিও চলেছে। যদিও কাউকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়নি। শূন্যে গুলি চালানো হয় বলে দাবি।

মারামারি এবং গুলি চালানোর অভিযোগ কানে যাওয়ার পর কুলটি থানা থেকে পুলিশের একটি দল যায় ঘটনাস্থলে। বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। যে তিন জন আহত হয়েছেন, তাঁদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। জানা যাচ্ছে, দু’জন স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। গুলি ছোড়া হয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ডিসিপি (পশ্চিম) সন্দীপ কররা বলেন, ‘‘গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। গুলি চলেছে কি না সেটা তদন্তসাপেক্ষ। দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।’’

পরে জানা গিয়েছে, কুলটি থানার পুলিশ একটি বন্দুক এবং একটি রাইফেল উদ্ধার করেছে। অন্য দিকে, অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে রাস্তা অবরোধ করছেন আহত পরিবারের সদস্যেরা।

আরও পড়ুন
Advertisement