UP Marriage News

স্বামীদের অত্যাচারে ক্লান্ত, একে অপরকে বিয়ে করে নিলেন দুই স্ত্রী! মন্দিরেই হল সিঁদুরদান, সাত পাক

উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে বৃহস্পতিবার বিকেলে শিবমন্দিরে গিয়ে বিয়ে সেরেছেন দুই মহিলা। নিয়মকানুন মেনে একে অপরকে বিয়ে করেছেন তাঁরা। স্বামীদের অত্যাচারে ক্লান্ত হয়ে এই সিদ্ধান্ত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪১
উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের নবদম্পতি কবিতা এবং গুঞ্জা।

উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের নবদম্পতি কবিতা এবং গুঞ্জা। ছবি: সংগৃহীত।

দু’জনের স্বামীই ‘অত্যাচারী’ এবং মাদকাসক্ত। দু’জনেই স্বামীর সংসার করতে করতে ক্লান্ত। তাই বাকি জীবন একে অপরের সঙ্গে কাটানোর সিদ্ধান্ত নিলেন উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের বাসিন্দা কবিতা এবং গুঞ্জা। পরিণতি পেল তাঁদের ছ’বছরের ‘বন্ধুত্ব’। মন্দিরে গিয়ে সিঁদুরদান, মালাবদল, সাত পাকের মতো নিয়মকানুন মেনেই একে অপরকে বিয়ে করলেন তাঁরা। ত্যাগ করলেন স্বামীর সংসার।

Advertisement

নবদম্পতি জানিয়েছেন, তাঁদের দু’জনের স্বামীই মাদকাসক্ত। দিনের পর দিন মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে অত্যাচার করতেন তাঁরা। স্ত্রীদের মারধর করতেন। নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত সংসারে। কবিতা এবং গুঞ্জার আলাপ হয় ইনস্টাগ্রামে। দু’জনের পারিবারিক পরিস্থিতি মিলে যায়। শুরু হয় গল্প, আড্ডা এবং বন্ধুত্ব। ছ’বছর ধরে সে ভাবে কাটানোর পর একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে গোরখপুরের শিবমন্দিরে যান। সেখানে কবিতার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন গুঞ্জা। তাঁরা মালাবদল করেন, ঘোরেন সাত পাক। মন্দিরের পুরোহিত জানিয়েছেন, দুই মহিলা নিজেদের মতো মন্দিরে এসেছিলেন। নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে ধীরেসুস্থে আবার মন্দির থেকে বেরিয়েও গিয়েছেন।

নবদম্পতির এক জন জানিয়েছেন, তাঁর চার সন্তান। মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে প্রায় প্রতি দিনই তাঁর স্বামী তাঁকে মারধর করতেন। সংসারে শান্তি ছিল না। একাধিক বার বাপের বাড়িতেও চলে গিয়েছিলেন। অন্য জন নিঃসন্তান। সেই কারণে স্বামী তাঁর উপর অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ।

বিয়ে তো হল। কিন্তু এর পর? আপাতত কবিতা এবং গুঞ্জার পাকাপাকি কোনও মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। তাঁরা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকার কথা ভাবছেন। বাকি জীবন একে অপরের সঙ্গেই কাটাবেন বলে তাঁরা বদ্ধপরিকর, জানিয়েছেন সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে।

Advertisement
আরও পড়ুন