Rat Poison

বন্ধ ঘরে খোলা অবস্থায় রাখা ইঁদুর মারার গুঁড়ো বিষ, এসি চলছিল, ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু দুই শিশুর, সঙ্কটজনক দম্পতি

রাতে জানলা-দরজা বন্ধ করে ঘুমোতে যায় ওই পরিবার। ঘরে এসিও চলছিল। বুধবার সকালে পরিবারের কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৩২
বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয় দুই শিশুর দেহ।

বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয় দুই শিশুর দেহ।

ইঁদুরের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল এক পরিবার। এই জ্বালা থেকে বাঁচতে ‘পেস্ট কন্ট্রোল’-এ খবর দেন ওই পরিবারের কর্তা। ‘পেস্ট কন্ট্রোল’ থেকে কর্মী থেকে এসে ইঁদুর মারার বিষ ঘরের কোনায় কোনায় রেখে গিয়েছিলেন। কোনও তরল নয়, গুঁড়ো বিষ বাড়ি এবং ঘরের কোনায় কোনায় দিয়ে গিয়েছিলেন ‘পেস্ট কন্ট্রোল’ সংস্থার কর্মী।

Advertisement

রাতে জানলা-দরজা বন্ধ করে ঘুমোতে যায় ওই পরিবার। ঘরে এসিও চলছিল। বুধবার সকালে পরিবারের কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তার পরই তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকতেই দেখেন দুই সন্তান-সহ দম্পতি অচৈতন্য হয়ে পড়ে রয়েছেন।

তড়িঘড়ি তাঁদের চার জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা দম্পতির দুই সন্তানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দম্পতির অবস্থা সঙ্কটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের কুন্দ্রথুর এলাকার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘরের ভিতরে খোলা অবস্থায় রাখা ছিল ইঁদুর মারার বিষ। রাতে খেয়েদেয়ে শুতে গিয়েছিলেন দম্পতি। সঙ্গে দুই শিশুও। এসি চালানোর ফলে ঘরের সব জানলাও বন্ধ ছিল। মনে করা হচ্ছে, সেই গুঁড়ো বিষ ঘরের বাতাসের সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। আর সেই বাতাস নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে। আর তার জেরেই এই ঘটনা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট বলা যাবে না বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারী এক আধিকারিক।

আরও পড়ুন
Advertisement