Sons killed Father

‘ছোটবেলা থেকে জ্বালিয়ে আসছে’! বাবাকে খুন করে নদীর পারে দেহ জ্বালানোর সময় ধরা পড়ল দুই ভাই

অভিযুক্তদের নাম মণীশ রানা এবং অমিত রানা। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ২২ এবং ৩০ বছর। ৫৫ বছর বয়সি বলবীর সিংহ রানাকে হত্যার পর দুই ভাই মিলে বাবার দেহ নিয়ে গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে খানিক দূরে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯:১১

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বাবা বাড়ি এলেই ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতেন দুই ভাই। বড় হয়েছেন। কিন্তু ‘অত্যাচার’ থামছিল না। তাই বাবাকে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করে ফেলেছেন। প্রৌঢ়ের সৎকারের সময় প্রতিবেশীদের কাছে ধরা পড়ে গিয়ে এমনই দাবি করলেন দুই ছেলে। দুই ভাই জানালেন, পরিকল্পনা করে বাবাকে খুন করেছেন তাঁরা। দেহ সৎকারের জন্য নদীর পারে এসেছিলেন। সেই কাজও হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও বাবাকে মেরে বিন্দুমাত্র অনুতাপ নেই দুই ছেলের। উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের নাম মণীশ রানা এবং অমিত রানা। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ২২ এবং ৩০ বছর। ৫৫ বছর বয়সি বলবীর সিংহ রানাকে হত্যার পর দুই ভাই মিলে বাবার দেহ নিয়ে গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে খানিক দূরে। সেখানে দেহ সৎকারও করে ফেলেন তাঁরা। তবে নদীর পারে আগুনের শিখা আর ধোঁয়া দেখে কৌতূহলের বশে সেখানে পৌঁছেছিলেন কয়েক জন গ্রামবাসী। তাঁরা প্রশ্ন করাতেই দুই ভাই পুরো ঘটনার কথা জানান। তাঁদের ‘স্বীকারোক্তি’ শুনে চমকে গিয়েছেন সবাই।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত দুই ভাই জানিয়েছেন, ছোট থেকে তাঁদের উপর অত্যাচার করে আসছেন বাবা। শাসনের নামে তাঁদের চার ভাইবোনকে অকথ্য শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হত। বাবার ব্যবহারে দুই ভাই বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ। তাই বাবাকে খুন করেছেন তাঁরা। এক ভাই পুলিশকে জানিয়েছেন, বাবার খারাপ ব্যবহারের জন্য ২০১৩ সালে তাঁদের মা বাড়ি ছেড়ে চলে যান। সঙ্গে দুই বোনকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার পরেও বাবার ব্যবহার বদলায়নি। বড় ভাই অমিত জানান, তিনি মুম্বইয়ে একটি অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থায় কাজ করেন। মণীশ দেহরাদূনে ছোটখাটো একটা কাজ পেয়েছিলেন। স্বল্প রোজগার। কিন্তু রোজগারের সব টাকাই নাকি বাবা কেড়ে নিতেন।

বাবাকে খুনের প্রসঙ্গে ছোট ছেলে মণীশ পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ১ ডিসেম্বর উপার্জনের সাত হাজার টাকা নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন। ঘরে ঢোকামাত্র পুরো টাকা নিয়ে নেন বাবা। দাদাকে ফোন করে পুরো ঘটনার কথা জানান তিনি। দাদা তাঁকে আশ্বস্ত করেন, বাড়ি ফিরে এ নিয়ে কথা বলবেন। এর পর গত মঙ্গলবার অমিত মুম্বই থেকে বাড়ি ফেরেন। তার পরই হয় খুনের পরিকল্পনা। ওই রাতে বাবাকে পাথর দিয়ে আঘাত করে খুন করেন দুই ছেলে। রাতটা অপেক্ষা করে বুধবার সকালে নদীর পারে দেহ নিয়ে চলে যান সৎকার করতে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য তাঁদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন