গুয়াহাটিতে বৈঠকে তিপ্রা এবং আইপিএফটি নেতৃত্ব। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
বিধানসভা ভোটের আগে ত্রিপুরায় আবার ধাক্কা খেতে পারে বিজেপি। সেখানে বিরোধী জনজাতি দল তিপ্রা মথায় মিশে যেতে পারে বিজেপির সহযোগী জনজাতি দল ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা (আইপিএফটি)। দু’দলের সংযুক্তিকরণের বিষয়ে গুয়াহাটির একটি হোটেলে তিপ্রা প্রধান প্রদ্যোতবিক্রম মাণিক্য দেববর্মনের সঙ্গে আইপিএফটির সভাপতি তথা ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের মন্ত্রী প্রেমকুমার রিয়াংয়ের বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকের কথা মেনে নিয়েছেন প্রেমকুমার। তবে তিপ্রার সঙ্গে মিশে যাওয়া বা বিজেপির সঙ্গে জোট ভাঙার ঘোষণা করেননি। তিনি বলেন, ‘‘২০০৯ সাল থেকে আমরা আদিবাসী গোষ্ঠীর পৃথক তিপ্রাল্যান্ড রাজ্য গড়ার দাবি জানিয়ে আসছি। ২০১৮ সাল থেকে বিজেপির সঙ্গে আমাদের জোট রয়েছে। প্রদ্যোতবিক্রম ডোফা এবং তিপ্রাসা জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কাজ করে চলেছেন। তাঁকে সমর্থন জানানো আমাদের কর্তব্য।’’
ওই বৈঠকে তিপ্রার সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক বিজয়কুমার রাঙ্খলও হাজির ছিলেন। ২০২১ সালে রাঙ্খলের নেতৃত্বাধীন জনজাতি দল ইন্ডিজেনাস ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট অফ তিপ্রা (আইএনপিটি) মিশে গিয়েছিল তিপ্রা মথায়। ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা রাজপরিবারের বংশধর প্রদ্যোতবিক্রম ২০২১ সালের গোড়ায় জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার রক্ষার দাবিতে তিপ্রা ইন্ডিজেনাস প্রোগ্রেসিভ রিজিয়োনাল অ্যালায়েন্স বা তিপ্রা মথা দল গড়েছিলেন।
দলের জনভিত্তির প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় ২০২১ সালের এপ্রিলে, ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াস অটোনমাস ডিসট্রিক্ট কাউন্সিল (এডিসি) নির্বাচনে। বিভিন্ন আদিবাসী বা জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে তৈরি তিপ্রা মথা এডিসির ১৮টি আসনে জয়লাভ করে। বাকি ৯টি আসন মিলিত ভাবে পায় বিজেপি এবং তাদের জোট সঙ্গী জনজাতি আইপিএফটি।
২০১৮-র বিধানসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে ৮টি আসনে জিনেছিল আইপিএফটি। কিন্তু গত দু’বছরে আইপিএফটির ৮ জন বিধায়ক তিপ্রায় যোগ দিয়েছেন। ১ জানুয়ারি আইপিএফটি প্রধান তথা জোট সরকারের মন্ত্রী এনসি দেববর্মার মৃত্যুর পর দলের অন্দরে বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা ভেঙে দেওয়ার দাবি ওঠে।