Cash for Query Case

‘আমার বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস করবে জেনে শিহরন হচ্ছে’! ফের আদানিকে টেনে বিজেপিকে বিদ্রুপ মহুয়ার

রবিবার বিজেপিকে বিদ্রুপ করে মহুয়া লেখেন, “বিজেপি আমার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার কথা ভাবছে, এটা জেনে আমি শিহরিত হচ্ছি। তাদের স্বাগত জানাচ্ছি।”

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:১৪
TMC MP Mahua Moitra slams BJP and Ethics Committee in Cash for question controversy

গৌতম আদানি (বাঁ দিকে) এবং মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র।

বিজেপির বিরুদ্ধে ফের সরব হলেন মহুয়া মৈত্র। রবিবার নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পর পর দু’টি পোস্ট করে বিজেপিকে নিশানা করেছেন তিনি। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের আক্রমণের লক্ষ্য থেকে বাদ যাননি লোকসভার এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিজেপি সাংসদ বিনোদ সোনকরও।

Advertisement

দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে মহুয়া জানান যে, বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করবে, এটা জেনে তিনি ‘শিহরিত’ হচ্ছেন। এর সঙ্গে তিনি জুড়ে নেন আদানি প্রসঙ্গও। শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার কয়লা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মহুয়া দাবি করেন যে, এ ক্ষেত্রে ইডি এবং সিবিআইয়ের এফআইআর দায়ের করা প্রয়োজন।

মহুয়ার বিরুদ্ধে সংসদে ‘অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন’ তোলার অভিযোগে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে তৃণমূলের বাগ‌্‌যুদ্ধ চলছেই। রবিবার বিজেপিকে বিদ্রুপ করে মহুয়া লেখেন, “বিজেপি আমার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার কথা ভাবছে, এটা জেনে আমি শিহরিত হচ্ছি। তাদের স্বাগত জানাচ্ছি।” তার পরই আদানির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মহুয়া জানান, তাঁর ক’জোড়া জুতো আছে, তা জানার আগে ওই দুর্নীতির বিষয়ে আগে তদন্ত করা উচিত।

এক্স হ্যান্ডলের দ্বিতীয় বার্তায় মহুয়ার আক্রমণের লক্ষ্যে ছিলেন মূলত এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান। এথিক্স কমিটিতে ডেকে পাঠিয়ে তাঁকে কী জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, তার নথি আছে বলে দাবি করে মহুয়া লেখেন, “চেয়ারম্যানের সস্তা, অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন, আমার প্রতিবাদ, সব কিছুর প্রতিলিপি আমার কাছে রয়েছে।” বিজেপি মহিলা সাংসদদের নামিয়ে এই বিষয়ে মিথ্যা বয়ান তৈরি করার চেষ্টা করছে বলেও প্রকারান্তরে অভিযোগ তুলেছেন মহুয়া।

‘ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলা’র অভিযোগে তৃণমূল সাংসদ মহুয়ার বক্তব্য জানার গত বৃহস্পতিবার তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল লোকসভার এথিক্স কমিটি। বৈঠকের মাঝপথে সেখান থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে মহুয়া বলেন, ‘‘এটা কী ধরনের বৈঠক? ওঁরা নোংরা প্রশ্ন করছেন।’’ মহুয়ার অভিযোগ, বৈঠকে তিনি গালে হাত রেখেছিলেন। তা নিয়েও ‘বাজে’ কথা বলা হয়েছে। মহুয়াকে যে ভাবে প্রশ্ন করা হয়েছে, তা নিয়ে সরব হন বিএসপির সাংসদ দানিশ আলি।

‘ব্যক্তিগত এবং অনৈতিক’ প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলে কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন মহুয়া। তার পর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, এথিক্স কমিটির বৈঠকে মৌখিক ভাবে তাঁর ‘বস্ত্রহরণ’ করা হয়েছে। লোকসভার স্পিকারের কাছে এক জন মহিলা সাংসদ হিসাবে ‘সুরক্ষা’ও চান তিনি। মহুয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা শিষ্টাচার ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন বিজেপির মহিলা সাংসদ তথা এথিক্স কমিটির অন্যতম সদস্য অপরাজিতা ষড়ঙ্গী। এই আবহেই মহুয়া বিজেপিকে নিশানা করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

মহুয়ার বিরুদ্ধে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেই অভিযোগ তুলেছিলেন যে, ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন তিনি। সেই প্রশ্নের নিশানায় ছিলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। অনেক সময়ই নিশানা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। গত ২৬ অক্টোবর এই কাণ্ডে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত এবং মহুয়ার প্রাক্তন বান্ধব জয় অনন্ত দেহাদ্রাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এথিক্স কমিটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement