এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
তরুণীকে ধর্ষণের পর সিগারেট ও গরম তাওয়ার ছেঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল মহারাষ্ট্রে। সম্প্রতি স্বামী ও তাঁর পরিজনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ঠাণের বাসিন্দা ওই তরুণী। অভিযোগ, ব্ল্যাকমেলের পর তরুণীকে বিয়েতে রাজি হতে বাধ্য করেছিলেন ওই যুবক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগে সমাজমাধ্যমে ৩৮ বছরের ওই যুবকের সঙ্গে নির্যাতিতার আলাপ হয়েছিল। ক্রমে আলাপ গড়ায় পরিণয়ে। অভিযোগ, এক দিন তরুণীকে নির্জন একটি লজে ডেকে তাঁকে ধর্ষণ করেন যুবক। এর পরেই শুরু হয় বিয়ে করতে চেয়ে লাগাতার হুমকি। বলা হয়, বিয়েতে না রাজি হলে ধর্ষণের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এর মাঝে ওই যুবক ভয় দেখিয়ে আরও কয়েক বার তরুণীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এক পর্যায়ে যুবককে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যান নির্যাতিতা।
বিয়ের পর শুরু হয় অত্যাচার। স্বামী ও শাশুড়ি মিলে তরুণীকে জোর করে মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর চুল ও ভ্রু কেটে তাঁকে একটি ঘরে বন্দি করে রাখেন শ্বশুরবাড়ির পরিজনেরা। কেড়ে নেওয়া হয় আধার, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্কের পাসবই-সহ যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। অভিযোগ, এই সময়েও একাধিক বার তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। শরীরে সিগারেট ও গরম তাওয়ার ছেঁকাও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতা তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ব্যবহার করে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির পরিজনেরা। তাঁর বাবাকেও পণ চেয়ে চাপ দেওয়া হয়েছে। তরুণী রাজি না হলেই নির্যাতনের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁকে চুপ করিয়ে রাখতেন অভিযুক্তেরা। শেষমেশ রবিবার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণী। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪(২) (একাধিক বার ধর্ষণ), ৭৫ (যৌন অপরাধ), ৮৭ (অপহরণ)-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার স্বামী ও অন্য অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।