এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করতে বলেছিলেন মা। ছেলেকে শিক্ষা দিতে মা ও দাদা মিলে তার বাইকটিও বিক্রি করে দিয়েছিলেন। সেই অভিমানে নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হল ১৫ বছরের কিশোর! রবিবার উত্তরপ্রদেশের মেরঠে ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোর স্থানীয় এক স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার পরিবার আদতে বুলন্দশহরের বাসিন্দা। মাস ছয়েক আগে ওই পরিবার অ্যাপেক্স কলোনি এলাকায় বাড়ি কিনে পাকাপাকি ভাবে মেরঠে চলে আসে। এক বছর আগে বাবার মৃত্যুর পর থেকে দুই ছেলেকে নিয়ে সংসার চালাতেন মা-ই। স্থানীয় এক মেডিক্যাল কলেজে নার্সের কাজ করতেন তিনি।
রবিবার রাত ৮টা নাগাদ বড় ছেলের সঙ্গে কাজ থেকে ফিরে মা দেখেন, ছোট ছেলে বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিছু ক্ষণ পর নিজের ঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় সে। এর পরেই আচমকা গুলির শব্দ শুনে মা ও দাদা ছুটে যান। জানলা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে কিশোরের দেহ। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আত্মহত্যার আগে ইন্টারনেটে মৃত্যু সংক্রান্ত নানা ভিডিয়ো দেখেছিল ছেলেটি। মৃত্যুর পর আত্মার কী হয়, অনলাইনে সে সব প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজেছিল সে। সম্প্রতি মায়ের সঙ্গে বচসা হয়েছিল তার। খারাপ বন্ধুদের সঙ্গ ত্যাগ করতে বলেছিলেন মা। দিন কয়েক আগে মা ও দাদা মিলে কিশোরের বাইকটিও বিক্রি করে দেন। এর পরেই আত্মহত্যা করে বসে ওই কিশোর। তবে ওই কিশোরের মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা জানতে তদন্ত চলছে। কী ভাবে ওই কিশোরের কাছে বন্দুক এল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।